দেবব্রত দাস, খাঁতড়া: দাদুর সঙ্গে কংসাবতীতে স্নান করতে নেমে তলিয়ে গিয়েছিল পড়ুয়া। তাঁকে উদ্ধার করে পাড়ে ফেরার সময় পাইপে আটকে পড়েন বৃদ্ধ। প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে দাদু ও নাতিকে উদ্ধার করলেন সিভিক ভলান্টিয়র। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক শোরগোল বাঁকুড়ার (Bankura) রাইপুরে।
জানা গিয়েছে, বাঁকুড়ার বাসিন্দা দীনবন্ধু মহাপাত্র। বয়স ৮০ বছর। তাঁর নাতি সৌমদ্বীপ চৌনি। সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সে। মঙ্গলবার সকালে দীনবন্ধুবাবু তাঁর নাতিকে সঙ্গে নিয়ে কংসাবতীতে যান স্নান করতে। সেই সময়ই আচমকা স্রোতে ভেসে যায় সৌম্যদ্বীপ। বিষয়টা টের পাওয়ামাত্রই নাতিকে উদ্ধার করতে ঝাঁপিয়ে পড়েন দীনবন্ধুবাবু। সৌম্যদ্বীপকে কাঁধেও তুলে নেন তিনি। সেই সময় ঘটে বিপত্তি। নাতিকে উদ্ধার করে পাড়ে ফেরার সময় পিএইচই দপ্তরের পাইপ লাইনে আটকে পড়েন তিনি। বিষয়টি দেখতে পাওয়ামাত্র তাঁদের উদ্ধারের চেষ্টা করেন স্থানীয়রা।
[আরও পড়ুন: বরানগরে সজল, ভগবানগোলায় ভাস্কর, রাজ্যে উপনির্বাচনের প্রার্থী ঘোষণা বিজেপির]
খবর পেয়ে নিজের প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে জলে নামেন রাইপুরের সিভিক ভলান্টিয়ার বৈদ্যনাথ রজক। দীর্ঘক্ষণ চলে জলের সঙ্গে মরণবাঁচন লড়াই। অবশেষে নাতি-দাদু দুজনকেই উদ্ধার করে পাড়ে নিয়ে আসেন তিনি। ওই সিভিক ভলান্টিয়রের ভূমিকায় আপ্লুত বৃদ্ধ ও এলাকার বাসিন্দারা। সূত্রের খবর, বর্তমানে দাদু-নাতি দুজনেই সুস্থ রয়েছেন। তবে তাঁরা আতঙ্কিত।