সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের একবার সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের বিতর্কসভার বিরুদ্ধে সরব হলেন দেশের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামানা (CJI N V Ramana)। তাঁর অভিযোগ, সংবাদমাধ্যমে খাপ পঞ্চায়েত বসছে। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমের এই ভূমিকা গণতন্ত্রকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে। পয়গম্বরকে নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করায় সুপ্রিম কোর্টের ভর্ৎসনার মুখে পড়েছিলেন প্রাক্তন বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মা। তারপরই সোশ্যাল মিডিয়াজুড়ে বিচারপতিদের ভূমিকার সমালোচনা শুরু হয়। ইতিপূর্বে এর বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েছিলেন সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) প্রধান বিচারপতি। এদিন ফের একই ইস্যুতে তোপ দাগলেন তিনি।
শনিবার রাঁচির ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব স্টাডি অ্যান্ড রিসার্চ ইন ল আয়োজিত ‘জাস্টিস এসবি সিনহা মেমোরিয়াল লেকচার’ ‘লাইফ অফ এ জাজ’ শীর্ষক সম্মলনের উদ্বোধনী ভাষণ দেন জাস্টিস রামানা। সেখানেই সোশ্যাল মিডিয়ার সমালোচনা করেন তিনি। নেটিজেনদের একাংশকে পক্ষপাতদুষ্ট, অর্ধেক জ্ঞানসম্পন্ন বলেও কটাক্ষ করেছেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘নেত্রীর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলাম, পাইনি’, SSC মামলায় গ্রেপ্তারির পর মুখ খুললেন পার্থ]
প্রধান বিচারপতির অভিযোগ, নির্দিষ্ট অ্যাজেন্ডা নিয়ে বিচারপতিদের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তারা। বিচারপতিদের বিরুদ্ধে লাগাতার কুৎসার নিয়ে জাস্টিস রামানা বলেন, “বিচারপতিদের বিরুদ্ধে সোশ্যাল মিডিয়ায় লাগাতার প্রচার করছেন কেউ কেউ। বিচারপতিরা প্রতিক্রিয়া দেন না ঠিকই। কিন্তু এটাকে আমাদের অসহায়তা কিংবা দুর্বলতা ভাববেন না।”
মিডিয়া ট্রায়ালও বিচারপ্রক্রিয়ায় প্রভাব ফেলছে বলে সরব হয়েছেন প্রধান বিচারপতি। তাঁর কথায়, “সংবাদমাধ্যমগুলি খাপ পঞ্চায়েত বসাচ্ছে। এমন পরিস্থিতি তারা তৈরি করছে যে বহু মামলায় অভিজ্ঞ বিচারপতিদের পক্ষেওও সিদ্ধান্ত নেওয়া কঠিন হয়ে যাচ্ছে।” জাস্টিস রামানার কথায়, “সংবাদমাধ্যম এবং নেটিজেনদের দায়িত্বজ্ঞানহীন আচরণ গণতন্ত্রকে আরও পিছিয়ে দিচ্ছে।” সাম্প্রতিক পরিস্থিতিতে প্রধান বিচারপতির এই উদ্বেগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।