সুব্রত বিশ্বাস: ভাঙড়ের অশান্তির জের। আইএসএফের অবরোধ ঘিরে রণক্ষেত্র ধর্মতলা চত্বর। পুলিশ বুঝিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। অভিযোগ, পরবর্তীতেতে আইএসএফ কর্মীদের হঠাতে ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। পালটা পুলিশ কর্মীদের ব্যাপক মারধর করা হয়। পুলিশ-আইএসএস কর্মীদের হাতাহাতি ধুন্ধুমার পরিস্থিতি তৈরি হয়। আটক করা হয় ভাঙড়ের বিধায়ক নওশাদ সিদ্দিকিকে।
শুক্রবার রাত থেকেই উত্তপ্ত ভাঙড়। শনিবার তারই প্রভাব পড়ে আইএসএফের কর্মসূচিতে। ভাঙড়ের অশান্তির জেরে আরাবুল ইসলামের গ্রেপ্তারির দাবিতে ধর্মতলায় অবরোধ করে আইএসএফ। অবরোধের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ব্যস্ত এলাকা। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের হঠানোর চেষ্টা করে। প্রথমে কথা বলে সমস্যা মেটানোর চেষ্টা করলেও লাভ হয়নি। ক্রমশ উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিক্ষোভকারীদের হঠাতে কাঁদানে গ্যাস ছোঁড়ে পুলিশ। এরপরই পালটা শুরু হয় পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটবৃষ্টি। পরিস্থিতি আয়ত্তে আনতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ। এরপরই পুলিশের কিয়স্কে হামলা চালায় আইএসএফ সমর্থকরা। ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয় গাড়িতে। আহত হন একাধিক পুলিশ আধিকারিক। সবমিলিয়ে উত্তাল হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও পুরোপুরি আয়ত্তে আসেনি পরিস্থিতি।
[আরও পড়ুন: আইএসএফ ও তৃণমূল সংঘর্ষ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে ফের নতুন করে উত্তপ্ত ভাঙড়]
প্রসঙ্গত, ঘটনার সূত্রপাত শুক্রবার রাত। ওইদিন রাতে ভাঙড়ে গুলি চলে বলে অভিযোগ। আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা গুলি চালায় বলেই দাবি তৃণমূলের। যদিও সেই দাবি খারিজ করে আইএসএফ। প্রতিবাদে হাড়োয়া এলাকায় পথ অবরোধ করেন কর্মী-সমর্থকরা। সেই রেশ ধরে শনিবার সকালেও উত্তেজনা তৈরি হয়। আইএসএফ কর্মী সমর্থকরা হাতিশালা মোড় অবরোধ করেন। অভিযোগ, জোর করে পথ অবরোধ হঠিয়ে দেয় তৃণমূল। তাতেই ক্ষুব্ধ হন আইএসএফ কর্মী-সমর্থকরা। টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তাঁরা। পালটা তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা তাঁদের উপর হামলা চালায় বলেও দাবি আইএসএফের। গোটা ঘটনার জন্য আরাবুল ইসলামকে দায়ী করে আইএসএফ।