দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে ফের উত্তপ্ত ক্যানিং। দুই গোষ্ঠীর সংঘর্ষে আহত হয়েছেন মোট আট জন। তাঁদের মধ্যে পাঁচজন গুলিবিদ্ধ হয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। আহতদের ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। ঘটনার পর দীর্ঘক্ষণ পেরিয়ে গেলেও এখনও থমথমে এলাকা।
পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবার রাতে মদ খেয়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার (North 24 Pargana) ক্যানিং থানার ইটখোলা গোলাবাড়ি এলাকায় বোমাবাজি শুরু করে একদল দুষ্কৃতী। তা নিয়ে তৃণমূলের দু’পক্ষের মধ্যে অশান্তি শুরু হয়। একে অপরকে লক্ষ্য করে ইট ছুঁড়তে থাকে বলে অভিযোগ। তাতেই আহত হন তিনজন। সেই সংঘর্ষের সময়ই গুলিবিদ্ধ হন পাঁচজন। গুলিবিদ্ধ ওই পাঁচজন যুব তৃণমূলের কর্মী বলে দাবি করা হয়েছে যুব সংগঠনের তরফে। এ বিষয়ে যুব তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি ইন্দ্রজিৎ সর্দার বলেন, “মদ খেয়ে এলাকার কয়েকজন দুষ্কৃতী আমাদের যুব তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে ঢুকে আক্রমণ শুরু করে। কর্মীরা তার প্রতিবাদ করলে এলোপাথারি গুলি চালানো হয়। আহত হন পাঁচ কর্মী।”
[আরও পড়ুন: পড়ুয়াদের উপর হামলায় ‘গ্রিন সিগন্যাল’? বিশ্বভারতীর VC-পুলিশের কথোপকথন ভাইরাল]
এই ঘটনার পর বিশাল পুলিশ বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে ওই এলাকায়। শুরু হয়েছে তল্লাশি। এ বিষয়ে ইটখোলার অঞ্চল সভাপতি তথা উপপ্রধান খতিব সরদার বলেন, “এলাকায় বাজার করা নিয়ে গণ্ডগোল। সেই থেকেই ঘটেছে এই ঘটনা।” যুব তৃণমূল কর্মীদের অভিযোগ, যারা আহত হয়েছে, গুলিবিদ্ধ হয়েছেন পুলিশ তাঁদের মারধর করে মিথ্যে কেস দিচ্ছে। এ বিষয়ে ক্যানিং পশ্চিমের বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বলেন, “ঘটনায় যারা জড়িত তাঁদের উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। পুলিশকে বলেছি যারা দোষী তাদের বিরুদ্ধে কেস করতে।” উল্লেখ্য, যুব তৃণমূল ও মাদার তৃণমূল গোষ্ঠীর সংঘর্ষে বেশ কয়েকদিন যাবৎ উত্তপ্ত হয়ে আছে ক্যানিংয়ের ইটখোলা, গোলাবাড়ি, মধুখালী এই সমস্ত এলাকা।
[আরও পড়ুন: বোলপুরের তৃণমূল নেতাকে খুনের অভিযোগ, পুলিশের জালে বিধায়ক মনিরুল ইসলামের দাদা]
The post তৃণমূলের গোষ্ঠী সংঘর্ষে ফের উত্তপ্ত ক্যানিং, গুলিবিদ্ধ ৫ কর্মী appeared first on Sangbad Pratidin.