অর্ণব আইচ: মেয়ে পড়াশোনায় ভাল৷ কিন্তু, ইদানিং মোবাইল ফোনে আসক্তি খুবই বেড়ে গিয়েছিল৷ শিকেয় উঠেছিল পড়াশোনা৷ ফলে অশান্তি চলছিল বাড়িতে৷ শেষপর্যন্ত, গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করল একাদশ শ্রেণির এক ছাত্রী৷ বাড়ি থেকে তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করল পুলিশ৷ রবিবার সকালের ঘটনাটি ঘটেছে বেণিয়াপুকুরে৷
[গরমের ছুটি কমবে কি না সিদ্ধান্ত নেবে স্কুল, জানালেন পার্থ]
মৃতের আরহাম রহমত৷ বাড়ি বেনিয়াপুকুরের রামেশ্বর সাউ রোডে৷ শহরের একটি নামী স্কুলের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী আরহাম৷ পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, এমনিতে পড়াশোনায় ভালই ছিল সে৷ স্কুলে বরাবরই ভাল রেজাল্ট করত৷ কিন্তু, ইদানিং মোবাইল ফোনের আসক্তি বেড়ে গিয়েছিল আরহামের৷ দিনরাত মোবাইলে নিয়ে ব্যস্ত থাকত একাদশ শ্রেণির ছাত্রীটি৷ মোবাইলে আসক্তি এমন জায়গায় পৌঁছেছিল, যে আরহাম রহমতের পড়াশোনা কার্যত শিকেয় উঠেছিল৷ মেয়ের এই অবস্থা দেখে প্রমাদ গুনেছিল পরিবারের লোকেরা ছিল৷ তাঁদের আশঙ্কা ছিল, মোবাইলের জন্য পড়াশোনার ক্ষতি হবে৷ খারাপ হবে রেজাল্ট৷ কিন্তু, বাড়ির লোকের বারণ শোনেনি রহমত৷ এই নিয়ে নিত্য অশান্তি লেগেই থাকত৷
পরিবস্থিতি চরমে পৌঁছায় শনিবার রাতে৷ দিনরাত মোবাইল ঘাঁটাঘাঁটি করার জন্য আরহাম রহমতকে বকাঝকা করেন বাড়ির লোকেরা৷ তার সাধের মোবাইলটিও কেড়ে নেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে৷ আরহাম রহমতের বাড়ির লোকেরা জানিয়েছেন, রাতে খাওয়া-দাওয়ার পর নিজের ঘরে চলে যায় সে৷ রবিবার সকালে বিস্তর ডাকাডাকি করেও সাড়া পাওয়া যায়নি৷ শেষপর্যন্ত, ঘরে আরহামের ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান বাড়ির লোকেরা৷ খবর দেওয়া হয় বেনিয়াপুকুর থানায়৷ মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ৷ এদিকে মোবাইল কেড়ে নেওয়ার মেয়ে যে এমন কাণ্ড ঘটিয়ে ফেলবে, তা কল্পনাও করতে পারেননি আরহাম রহমতের বাড়ির লোকেরা৷ এলাকায় শোকের ছায়া৷
[এবার শহরবাসীকে সতর্ক করতে আসরে মেসি, অভিনব প্রয়াস কলকাতা পুলিশের]