সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পৃথিবীর সাতটি মহাদেশের সবথেকে উঁচু শৃঙ্গ তিনি জয় করেছেন। এবার সাফল্যের আর এক শিখরে সত্যরূপ সিদ্ধান্ত। পৌঁছে গেলেন পৃথিবীর সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরিতে। দ্বিতীয় ভারতীয় হিসাবে নজির গড়লেন এই বঙ্গসন্তান।
[শিখরে বাংলা, প্রথম বাঙালি হিসাবে সাতটি শৃঙ্গ জয় সত্যরূপ সিদ্ধান্তর]
দক্ষিণ আমেরিকার চিলি-আর্জেন্টিনা সীমান্ত ঘেঁষা এই জীবন্ত আগ্নেয়গিরি পৃথিবীর সবথেকে উঁচু। এই অভিযান পর্বতারোহীদের কাছে অত্যন্ত চ্যালেঞ্জের। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২২,৫১৫ ফুট উচ্চতার এই আগ্নেয়গিরিতে ভারতীয় সময় সোমবার রাতে পৌঁছন সত্যরূপ। নিজের ফেসবুকে পেজে সেকথা পোস্ট করেন বঙ্গসন্তান। পাশাপাশি জানিয়ে দেন নিশ্চিন্তে আটাকামা ক্যাম্পে ফিরে এসেছেন। সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি জয়ের পর সত্যরূপ যে মেজাজে তা বোঝা যায় তার পোস্টে। সেখানে তিনি বুঝিয়ে দেন কলকাতা ছাড়ার পর একটি নামজাদা দোকানের বিরিয়ানি এবং রসগোল্লা কীভাবে মিস করছেন। শহরে ফিরলে বিমানবন্দরে তাঁর জন্য কেউ বিরিয়ানি আর রসগোল্লা হাজির হলে সত্যরূপ সব ধকল যেন ভুলে যাবেন। এই অভিযানে গিয়ে পরপর নজির গড়েছেন কলকাতার কবরডাঙার ছেলে সত্যরূপ। প্রথমে অ্যান্টার্কটিকার ভিনসেন ম্যাসিফ জয় করেন। এরপর দক্ষিণ মেরু। সবশেষে পৃথিবীর সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরি। তাঁর এই ছকভাঙা সাফল্যে গর্বের শেষ নেই সিদ্ধান্ত পরিবারের। উচ্ছ্বসিত সত্যরূপের ক্লাব সোনারপুর আরোহী।
[ফের সাফল্য, দক্ষিণ মেরু স্পর্শ করে নজির গড়লেন সত্যরূপ]
সপ্তম শৃঙ্গ জয়ের লক্ষ্যে গত ৩০ নভেম্বর তিনি রওনা দিয়েছিলেন। মুম্বই থেকে আমস্টারডাম হয়ে চিলিতে পৌঁছন সত্যরূপ। সেখানে মিলিত হন দলের আরও চার অভিযাত্রীরা সঙ্গে। এরপর ৭ ডিসেম্বর থেকে শুরু হয় মূল অভিযান। গত ১৬ ডিসেম্বর অ্যান্টার্কটিকার ভিনসেন ম্যাসিফ তিনি জয় করেন। এরপর দীর্ঘ ১১১ কিলোমিটার বিপদসংকুল রাস্তা অতিক্রম করেন সত্যরূপ। গোটা রাস্তাটাই স্কি করে নিজের গন্তব্যে পৌঁছন বাঙালি পর্বতারোগী। দক্ষিণ মেরু অভিযানের পর সত্যরূপের গন্তব্য হয় চিলি। আগ্নেয়গিরি ছোঁয়ার পর সত্যরূপের কলকাতায় ফিরবেন আগামী বছরের ২২ জানুয়ারি। সত্যরূপের এদিনের উচ্ছ্বাস বুঝিয়ে দেয় বিমানবন্দরে তাঁর জন্য অপেক্ষা করবে প্যাকেট প্যাকেট বিরিয়ানি, সঙ্গে কয়েক হাঁড়ি রসগোল্লাও। আসলে তাঁর মতো অকুতোভয়ের জন্য এমন কিছুই মানায়।
The post আরও এক সাফল্যের শৃঙ্গে, বিশ্বের সর্বোচ্চ আগ্নেয়গিরির শিখরে সত্যরূপ appeared first on Sangbad Pratidin.