নব্য়েন্দু হাজরা: মেটার পথে কুড়মি সমাজের সমস্য়া? পূর্বাঞ্চলীয় আদিবাসী কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টানা ৪৫ মিনিট বৈঠক করলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। তাঁদের অভাব-অভিযোগ শুনে সমাধানের আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। তফশিলি উপজাতির মর্যাদা দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি পাঠানোর বিষয়টি ভাবনাচিন্তা করছে রাজ্য। বুধবারের বৈঠকে এমনটাই জানিয়েছে নবান্ন।
এদিন বিকেলে পূর্বাঞ্চলীয় আদিবাসী কুড়মি সমাজের ৩ প্রতিনিধি-শুভেন্দু মাহাতো, বিজয় মাহাতো এবং সুনীল মাহাতো নবান্নে আসেন। সঙ্গে ছিলেন জঙ্গলমহলের ১০ বিধায়ক। কুড়মি সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে টানা ৪৫ মিনিট বৈঠক করেন মমতা। সঙ্গে ছিলেন রাজ্য়ের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম ও মলয় ঘটক। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদীও। সূত্রের খবর, বৈঠকে মূলত ৩ দফা দাবি জানান কুড়মিরা।
[আরও পড়ুন: ওহ লাভলি! নেতা থেকে অভিনেতা মদন, সারলেন মিষ্টি পারিবারিক ছবির শুটিং]
এক, তফশিলি উপজাতি মর্যাদার জন্য় কেন্দ্রকে প্রয়োজনীয় চিঠি পাঠাতে হবে।
দুই, কুড়মি সমাজ উন্নয়ন পর্ষদের মেয়াদ সম্প্রতি শেষ হয়েছে। তা নতুন করে তৈরি করতে হবে।
তিন, পুরুলিয়ার এক সরকারি কলেজের নামকরণ করতে হবে ভারত ছাড় আন্দোলনে শহিদ দুই কুড়মি প্রতিনিধির নামে।
তাঁদের দাবিদাওয়া বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি জানিয়েছেন, এই ইস্যুতে ইতিমধ্যে কেন্দ্রকে চারবার চিঠি দিয়েছে রাজ্য় সরকার। তারপরেও সমাধান হয়নি। নতুন করে চিঠি পাঠানো যায় কি না, তা খতিয়ে দেখবে রাজ্য়। নতুন করে কুড়মি সমাজ উন্নয়ন পর্ষদ গড়ার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। ভারত ছাড় আন্দোলনে শহিদ হয়েছিলেন কুড়মি সমাজের দুজন-চুনারাম মাহাতো ও গোবিন্দ মাহাতো। তাঁদের নামে সরকারি কলেজের নামকরণ করা যায় কি না, তাও বিবেচনা করে দেখার আশ্বাস দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।