shono
Advertisement

Baguiati Twin Murder: বাগুইআটি জোড়া খুনে CID তদন্তের নির্দেশ মুখ্যমন্ত্রীর, সাসপেন্ড ওসি

মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে বিধাননগরের নগরপাল।
Posted: 01:11 PM Sep 07, 2022Updated: 06:09 PM Sep 07, 2022

গৌতম ব্রহ্ম: বাগুইআটির জোড়া খুনের (Baguiati Twin Murder) তদন্তে সিআইডি (CID)। পুলিশের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এমনই নির্দেশ দিয়েছেন। ক্লোজ করা হল বাগুইহাটি থানার ওসিকেও। প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্নের মুখে বিধাননগরের নগরপাল সুপ্রতিম সরকার। মমতার প্রশ্ন, “কেন এত অবহেলা? কেন এত গাফিলতি?” ওসিকে সাসপেন্ড করা উচিৎ বলেও জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর ওসিকে সাসপেন্ড করা হয়।

Advertisement

২২ আগস্ট বিকেলে অপহরণের পর রাতে খুন করা হয় বাগুইআটির জগৎপুর এলাকার দুই মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী- অভিষেক নস্কর এবং অতনু দে-কে। ২৫ আগস্ট থেকে দেহ পড়েছিল বসিরহাটের মর্গে। নিখোঁজ ডায়েরি করার পরও বাগুইআটি থানা উপযুক্ত কোনও পদক্ষেপ করেনি বলে অভিযোগ পরিবারের। জোড়া দেহ উদ্ধারের পর থানার সামনে তুমুল বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। বুধবার সকাল থেকে বিক্ষোভ দেখায় বিজেপির মহিলা মোর্চার কর্মীরাও। রিপোর্ট তলব করেছিলেন ডিজি মনোজ মালব্য। এরপরই সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী। 

[আরও পড়ুন: নাকচ জামিনের আরজি, গরু পাচার মামলায় ফের জেল হেফাজতে অনুব্রত]

এদিন সাংবাদিক সম্মেলন করে রাজ্যের মন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম মুখ্যমন্ত্রীর বার্তা জানান। তাঁর কথায়, “পুলিশের আরও সক্রিয় হওয়া উচিৎ ছিল। পুলিশ চাইলে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা সিআইডির সঙ্গে কথা বলতে পারত। মুখ্যমন্ত্রী দুঃখপ্রকাশ করেছেন। পরিবারের পাশে আছি।” এরপরই ওসি কল্লোল ঘোষকে ক্লোজ করার কথা জানান। পরে তাকে সাসপেন্ড করা হয়। তদন্তভার তুলে দেওয়া হয় সিআইডির হাতে। ফিরহাদ আরও বলেন, “কাউকে ছাড়া হবে না। সকলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দেওয়া হবে। মুখ্যমন্ত্রী ডিজিকে নির্দেশ দিয়েছেন।”

 

বাগুইআটির দুই কিশোর খুনের ঘটনায় তোলপাড় বাংলা। মঙ্গলবার থেকেই দফায় দফায় চলছে বিক্ষোভ-অশান্তি। পুলিশের ভূমিকা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন। অতনুর দেহ ১৪ দিন বসিরহাটে মর্গে পড়ে থাকলেও কেন জানতেও পারল না পুলিশ, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উত্তেজিত জনতা। ২২ আগস্ট নিখোঁজ হওয়া দুই পড়ুয়াকে বাসন্তী হাইওয়েতে খুন করা হয়। দু’সপ্তাহ ধরে বসিরহাট থানার মর্গে পড়েছিল দেহ। অথচ জানতই না পুলিশ। এদিকে ১ কোটি টাকা মুক্তিপণ দাবি করে মেসেজ করা হচ্ছিল পরিবারের সদস্যদের। পরে মঙ্গলবার উদ্ধার হয় দেহ। সেই সময় জানা যায়, ১৪ দিন ধরে বসিরহাটের মর্গে দেহ পড়ে থাকলেও তা জানতে পারেনি পুলিশ। তা নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়।

[আরও পড়ুন: কয়লা পাচার মামলা: CBI জেরার মুখে মলয় ঘটক, প্রতিবাদে আসানসোলে বিক্ষোভে TMC সমর্থকরা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement