সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২০ সালে পুরনির্বাচন হওয়ার কথা থাকলেও করোনার কোপে তা হয়ে ওঠেনি। এখন রাজ্যের করোনার পরিস্থিতি অনেকটাই ভাল। বিধানসভা ভোটও মিটে গিয়েছে। চলতি বছরের শেষেই হতে পারে সেই পুরভোট। শনিবার এমনই ইঙ্গিত দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বললেন, “অক্টোবরের শেষে উপনির্বাচন মিটলে অন্যান্য ভোটের ব্যবস্থাও তো করতে হবে।” তাঁর এহেন মন্তব্য বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
সেপ্টেম্বরের ৩ তারিখ ভবানীপুরের উপনির্বাচন (By-Election) এবং মুর্শিদাবাদের দুই কেন্দ্রে নির্বাচন মিটেছে। অক্টোবরের ৩০ তারিখ শান্তিপুর, খড়দহ, গোসাবা ও দিনহাটার উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা করা হয়েছে। সেই ভোট মিটলেই রাজ্যে ফের নির্বাচনের ডঙ্কা বাড়তে পারে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। এ প্রসঙ্গে ঠিক কী বললেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়?
[আরও পড়ুন: পুজোর আগে ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র টাকা হাতে পাচ্ছেন না এই জেলার মহিলারা]
নবান্নের সাংবাদিক সম্মেলন থেকে নির্বাচনের ইঙ্গিত দেন তিনি। বলেন, “পুজোর সময় কাউকে বিরক্ত করবেন না। পুজোও হবে আবার ভোটও হবে। কিন্তু পুজোর আনন্দের সময়। তখন ভোটের প্রচার করবেন না। এ নিয়ে আমি কমিশনের কাছে আবেদন করব। যাতে ১০-২০ অক্টোবর কোনও প্রচার না হয়।” এর পরই তিনি বলেন, “এই ভোট মিটলে অন্যান্য ভোটেরও ব্যবস্থা করতে হবে।”
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালে রাজ্যের একাধিক পুরভোট হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু করোনা পরিস্থিতির জেরে সেই ভোটের ব্যবস্থা করা যায়নি বলে দাবি রাজ্য সরকারের। কাউন্সিলরের বদলে সেই পদে রয়েছেন কো-অর্ডিনেটররা। এ নিয়ে জল গড়িয়েছিল আদালত পর্যন্তও। কিন্তু ভোট হয়নি। এবার সেই ভোটের বাদ্যি বাজবে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: ‘ডিভিসি যেভাবে জল ছাড়ছে তা মারাত্মক অপরাধ’, নবান্ন থেকে ফের তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী]
প্রসঙ্গত, অক্টোবরের দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকেই পুজোর মরশুম। তা কাটতে না কাটতেই ফের নির্বাচনী আবহ রাজ্যে। তবে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সবক’টি কেন্দ্রে উপনির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। ফল প্রকাশ হবে ২ নভেম্বর। মনে করা হচ্ছে, ওই মাসের শেষের দিকেই হতে পারে পুরভোট।