সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: ডেঙ্গু (Dengue) নিয়ে উদ্বেগ ক্রমশই বাড়ছে। রাজ্যের ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে মশাবাহিত এই রোগে। তার মধ্যে এক শিশুও রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্যভবন একাধিক বৈঠক করে ডেঙ্গু মোকাবিলায় একাধিক পদক্ষেপ গ্রহণ করেছে। বৃহস্পতিবারও মুখ্যসচিবের নেতৃত্বে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে। জেলার পরিস্থিতি নিয়ে হাতে আসা রিপোর্টের পর্যালোচনা হয়েছে সেই বৈঠকে। রোগ চিহ্নিত, চিকিৎসায় নতুন কয়েকটি নিয়ম চালু হতে চলেছে বলে খবর। এই পরিস্থিতিতে বিধানসভা অধিবেশনেও ডেঙ্গু নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)।
বৃহস্পতিবার মুখ্যমন্ত্রী বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বলেন, ”বাংলাদেশ থেকে এখানে ডেঙ্গু ছড়াচ্ছে। এভাবে রোগ ছড়িয়ে পড়লে কী করা যায়? কাউকে তো ঢুকতে বারণ করতে পারি না। তবে সীমান্তগুলিতে নজরদারি বাড়াতে হবে। বাংলাদেশ (Bangladesh) থেকে কেউ এলে সীমান্তেই প্রয়োজনীয় পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।” উল্লেখ্য, প্রতিবেশী দেশে মশাবাহিত রোগটির বাড়বাড়ন্তের জেরে এমনিতেই সীমান্তে স্বাস্থ্যপরীক্ষার ব্যবস্থা হয়েছে। কারও শরীরে জীবাণু পাওয়া গেলে তাঁকে নিকটবর্তী হাসপাতালে রেখে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: আয়ের নেশায় সুন্দরবনের ঘন জঙ্গলে ভ্লগার! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও পোস্ট হতেই শোরগোল]
শুধু ডেঙ্গু নয়, মশাবাহিত অন্যান্য রোগও ছড়িয়ে পড়ছে রাজ্যে। কালনার বাসিন্দা দেবকুমার ঢালির মৃত্যু হয়েছে জ্বরে। রক্তপরীক্ষায় ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়ার রিপোর্ট নেগেটিভ হলেও এনকেফেলাইটিসে আক্রান্ত ছিলেন তিনি। সেই কারণেই মৃত্যু বলে মনে করা হচ্ছে। কালনা হাসপাতালে এই মুহূ্র্তে ৫০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী চিকিৎসাধীন বলে জানিয়েছেন সুপার। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার ফের জেলাশাসক ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যসচিব এইচ কে দ্বিবেদী। ডেঙ্গু মোকাবিলায় আরও অস্থায়ী স্বাস্থ্যকর্মীদের নিয়োগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। মোট ১৬০ টি স্বাস্থ্যকেন্দ্রে বিনামূল্যে হবে ডেঙ্গু পরীক্ষা। ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে ভেক্টর বাহিত রোগ নিয়ে নজরদারি।