গৌতম ব্রহ্ম: রাজ্যে একের পর এক দুর্নীতি, তোলাবাজি, পাচারের অভিযোগে বিদ্ধ শাসকদল। এবার এ নিয়ে কড়া পদক্ষেপের নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তিনি মনে করছেন, সব ক্ষেত্রে দোষী না হলেও এই ধরনের ঘটনায় ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে তৃণমূলের। তাই তোলাবাজির অভিযোগ উঠলে আসল দোষীদের আগে খুঁজে বের করতে হবে। যদি তোলাবাজি বা কোনওরকম দুর্নীতির সঙ্গে কোনও নেতামন্ত্রীও যুক্ত থাকেন, তাদেরও রেয়াত করা হবে না।
এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেছেন, নিচুতলা এবং উঁচুতলার পুলিশ কর্মীদের মধ্যে সমন্বয় থাকছে না। অনেক পুলিশকর্মীর কাজে গাফিলতি রয়েছে। বাড়ি থেকে কাজ করছেন অনেকে। এরপরই মুখ্যমন্ত্রী আসল তোলাবাজদের খুঁজে বের করার নির্দেশ দিয়েছেন পুলিশ আধিকারিকদের। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, কোথাও তোলাবাজির অভিযোগ এলেই তৃণমূলকে (TMC) বদনাম করা হচ্ছে। তাই সঠিক দোষীদের খুঁজে বের করতে হবে। তাতে যদি কোনও নেতা বা মন্ত্রীর নাম আসে, তাদেরও রেয়াত করা হবে না।
[আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন ও উত্তরপত্রের ধরন, ঘোষণা উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের]
এর পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রী এদিন পুলিশ কর্মীদের নাকা চেকিং বাড়ানোর নির্দেশ দিয়েছেন। বিশেষ করে যে যে জেলায় পাচারের অভিযোগ বেশি আসছে, সেই সেই জেলায় নাকা তল্লাশি বাড়াতে চান মুখ্যমন্ত্রী। এদিনের প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যে বালির নিলাম প্রক্রিয়ায় ঢিলেমি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জেলাশাসকদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন করেন, “বালি রাজস্ব নিয়ে আমাদের সুনির্দিষ্ট নীতি রয়েছে। তা সত্ত্বেও কেন বালি নিলাম করা যায়নি।”
[আরও পড়ুন: ‘নিয়োগ কমিটির অনুমতি ছাড়া নিয়োগ নয়’, চাকরি নিয়ে ব্রাত্যকে সতর্ক করলেন মুখ্যমন্ত্রী]
বস্তুত, প্রশাসনিক স্তরে আরও স্বচ্ছতা চাইছেন মুখ্যমন্ত্রী। সূত্রের খবর, এদিনের বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত স্তরের বিভিন্ন সরকারি প্রকল্প কেন্দ্রের আর্থিক সাহায্যের অভাবে বন্ধ হয়ে রয়েছে। কিন্তু এই প্রকল্পগুলিকে বন্ধ করে রাখা যায় না। তাই বিকল্প পথে রাজস্ব বাড়াতে হবে। মুখ্যমন্ত্রী এদিন জেলাশাসকদের নির্দেশ দিয়েছেন, স্বচ্ছভাবে যেখানে রাজস্ব বাড়ানো সম্ভব বাড়াতে হবে।