সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ইডির টার্গেট ছিল শেখ শাহজাহান (Shahjahan Sheikh)। তাঁকে লক্ষ্য করেই সন্দেশখালিতে ঢুকেছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী দল। ‘বহিরাগত’ অভিযোগ তুলে বৃহস্পতিবার বিধানসভায় সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শেখ শাহজাহানের পাশেই দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। বলেন, ‘‘সন্দেশখালিতে শাহজাহানকে ‘টার্গেট’ করে ইডি ঢুকল। সেই নিয়ে গোলমাল করে সংখ্যালঘু এবং আদিবাসীদের মধ্যে ঝামেলা লাগানো হচ্ছে। এমনিতেই ওটা দাঙ্গাপ্রবণ এলাকা। সেখানে মুখে মাস্ক পরে গোলমাল করা হচ্ছে। বহিরাগতরাই সন্দেশখালিতে এত গোলমাল পাকাচ্ছে।’’
শেখ শাহজাহান উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ। সন্দেশখালি (Sandeshkhali) এলাকায় তাঁর অত্যন্ত প্রভাব। সেখানে মাছের ভেড়ি-সহ একাধিক ব্যবসা-বাণিজ্য করে ফুলেফেঁপে উঠেছেন বলে অভিযোগ। আরও অভিযোগ, সেখানে শাহজাহানের দাপটে সাধারণ মানুষজন ভীত, সন্ত্রস্ত। বিশেষত মহিলাদের উপর শাহজাহান বাহিনীর ‘অত্যাচার’ নিয়ে ভুরি ভুরি অভিযোগ। এই মুহূর্তে শাহজাহান পলাতক। ইডি (ED) তাঁর খোঁজ চালাচ্ছে। রেশন দুর্নীতি মামলায় শাহজাহানের যোগ থাকা অভিযোগ মেলার পরই তাঁকে গ্রেপ্তার করতে জানুয়ারি মাসে সন্দেশখালি যায় ইডি। কিন্তু সেখানে শাহজাহানের অনুগামীদের ‘তাড়া’ খেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে আসেন আধিকারিকরা।
[আরও পড়ুন: ‘রাজনীতি আমার জন্য নয়, ইস্তফাপত্র দিয়েছি’, মমতার সঙ্গে বৈঠকের পর বিস্ফোরক মিমি]
এই ঘটনা ঘিরে সন্দেশখালির পরিবেশ টানা উত্তপ্ত। তবে শুধু শাহজাহান নয়, এলাকায় ভয়ের পরিবেশ তৈরি করার অভিযোগ উঠেছে আরও শাহজাহান ঘনিষ্ঠ আরও দুই নেতা উত্তম সর্দার ও শিবপ্রসাদ হাজরার বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে অবশ্য উত্তম সর্দারকে সাসপেন্ড করে তৃণমূল। তাঁকে গ্রেপ্তারও করা হয়। কিন্তু উত্তমকে গ্রেপ্তার করলেও শাহজাহানের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন দলের অন্যান্য নেতা। এবার মুখ্যমন্ত্রীও সেই অবস্থানের কথা স্পষ্ট করলেন। সাফ জানালেন, শাহজাহানকে টার্গেট করেই সেখানে ঢুকেছিল ইডি। বহিরাগতদের দিয়ে অশান্তি বাঁধাচ্ছে বিজেপি।