সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ফের নিয়োগ-জট নিয়ে বাম-বিজেপি ও কংগ্রেসকে তোপ দাগলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিরোধীদের জন্যই শিক্ষক নিয়োগ আটকে রয়েছে বলে অভিযোগ করলেন তিনি। মমতার অভিযোগ, বিরোধীরা আমজনতার বদলে নিজেদের স্বার্থের কথা বেশি ভাবছে. আর তাই সরকার নিয়োগের প্রস্তুতি নিলেই মামলা ঠুকছে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “বহু শূন্যপদ রয়েছে। কিন্তু নিয়োগ করতে পারছি না। এই বিজেপি-সিপিএম-কংগ্রেস নেতাগুলোর জন্য নিয়োগ আটকে রয়েছে। চাকরি পেলে ওদের লোকসান।” বিরোধীদের বিরুদ্ধে পালটা ‘দুর্নীতি’ তোপ দেগে মমতার দাবি, “এটা একটা বড় দুর্নীতি। যারা মানুষের কাজ আটকায় সেটা বড় দুর্নীতি। চাকরি আটকাতে নেই, এটা মনে রাখবেন।”
এবার রাজ্য বাজেটে ৫ লক্ষ সরকারি শূন্যপদে নিয়োগের প্রস্তাব রাখা হয়েছে। এছাড়াও ১ লক্ষ শিক্ষক পদ, পুলিশের ৬০ হাজার পদও ফাঁকা রয়েছে বলে সোমবার জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সমস্ত পদে নিয়োগ করতে চায় রাজ্য। কিন্তু বিরোধীদের জন্য সরকারের সেই উদ্যোগ বাস্তবায়ন করতে পারছে না বলে দাবি তাঁর। মুখ্যমন্ত্রীর অভিযোগ, “৬০ হাজার পুলিশ, ১ লক্ষ শিক্ষক, বিভিন্ন দপ্তরে ৫ লক্ষ যুবক-যুবতীকে নেওয়া হবে। যেই আমরা রেডি করছি, ওমনি (বিরোধীরা) মামলা ঠুকে দিচ্ছে। আর হাসতে-হাসতে বলছে, দেখলে তো চাকরিটা হতে দিলাম না। যেন জমিদারি পেয়ে গিয়েছেন! ক্ষমতা থাকলে ভোটে লড়ুন। গণতন্ত্রের লড়াইটা রাস্তায় নেমে করুন।”
[আরও পড়ুন: ১০০ দিনের বকেয়ার দাবি, সন্দেশখালির পথে আটকে পড়ল রাজ্যপালের কনভয়]
রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগে সরব হয় বিরোধীরা। এবার তাদেরই সেউ দুর্নীতি কাঁটায় বিঁধলেন মমতা। বললেন, “সবকিছুতে দুর্নীতি করবেন না। এটা একটা বড় দুর্নীতি। যারা মানুষের কাজ আটকায় সেটা বড় দুর্নীতি।” রেলের নিয়োগে ‘বেনিয়ম’ নিয়ে সরব হয়ে মুখ্যমন্ত্রী বলেন,”যান, রেলে দেখুন, কত দুর্নীতি হয়েছে! আমরা তো কখনও বলি না। যাই হোক, ছেলেমেয়েরা চাকরি তো পাচ্ছে। চাকরি আটকাতে নেই, এটা মনে রাখবেন।” পরিশেষে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধানের বার্তা, “সিপিএম আর বিজেপি নেতাদের বলুন, বেকার যুবক-যুবতীদের ভবিষ্যত নষ্ট না করতে। এই চাকরিগুলো আটকাবেন না।” মমতার প্রশ্ন, “চাকরিগুলো আটকাতে একটু মায়া লাগে না?”