ক্ষিরোদ ভট্টাচার্য: অসুস্থ বুদ্ধবাবুকে (Buddhadeb Bhattachary) দেখতে হাসপাতালে যাচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ইতিমধ্যে ফোন করেও নিজের পূর্বসূরির খোঁজ নিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। হাসপাতালে পৌঁছে গিয়েছেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসও। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর দ্রুত আরোগ্য় কামনা করেছেন রাজ্যপাল। ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে চিকিৎসা। কেমন আছেন বুদ্ধবাবু?
রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা অনেকটাই নেমে গিয়েছিল। বেড়েছিল কার্বন ডাই অক্সাইডের মাত্রা। এদিন দুপুরে তড়িঘড়ি বেসরকারি হাসপাতালের ৫১৬ নম্বর ওয়ার্ডে ভরতির পরই শুরু হয়েছে চিকিৎসা। অক্সিজেন দেওয়া শুরু হয়। পাশাপাশি সিক অ্যান্ড সাপোর্ট সিস্টেমেও রাখা হয় বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে। কী এই সিক অ্যান্ড সাপোর্ট সিস্টেম? এতে একদিকে যেমন রোগীকে অক্সিজেন দেওয়া হয়, তেমনই দেওয়া চলে সিপিআর। টানা ১৫ মিনিট এই সিস্টেমে রেখে তাঁর চিকিৎসা চলে। রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কিছুটা বেড়েছে। তবে হাসপাতাল সূত্রে খবর, এই মাত্রা ৮২-এর উপর উঠছে না। এদিকে চিকিৎসার ফলে চোখ মেলে তাকিয়েছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী। কেটেছে আচ্ছন্নভাবও। কোনওরকম ভেন্টিলেশনের সাহায্য ছাড়াই নিশ্বাস নিতে পারছেন প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী
[আরও পড়ুন: ‘এত বছর দল করে ঝুনঝুনি পেলেন’, দিলীপকে তীব্র কটাক্ষ বাবুলের]
হাসপাতাল সূত্রে খবর, মেডিসিন, ক্রিটিক্যাল কেয়ার, ইউরোলজি, এন্ডোক্রিনলোজি-সহ ছয় সদস্যের মেডিক্যাল বোর্ড গঠন হয়েছে। চিকিৎসকদের মধ্য়ে তিনজন আগেও বুদ্ধবাবুকে দেখেছেন। এক চিকিৎসক বাড়িতে তাঁর চিকিৎসা করেন। এতদিন যাবৎ চিকিৎসকদের নিজের প্রস্রাবের সমস্যা রয়েছে কি না তা স্পষ্ট করেননি। তাই মেডিক্যাল বোর্ডে ইউরোলজিস্টকে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালে প্রাক্তন সতীর্থকে দেখতে গিয়েছিলেন রবীন দেব। তিনি জানিয়েছেন, চিকিৎসায় সাড়া দিচ্ছেন বুদ্ধবাবু। আগের চেয়ে বেশ কিছুটা ভাল রয়েছেন তিনি। রাজ্য়ের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর আরোগ্য কামনা করছে রাজ্যবাসী।