নব্যেন্দু হাজরা: করোনাকালে বহু প্রকাশক বই প্রকাশনা বন্ধ করে দিয়েছিলেন। বেছে নিয়েছিলেন অন্য পেশা। বইয়ের প্রতি আকর্ষণ হারাচ্ছিলেন অনেকে। কিন্তু সেই ভালবাসা যেন ফিরে আসছে ছোট, অতি ছোট এবং মাঝারি প্রকাশকদের মধ্যে। এবারের কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলাতেই (Kolkata International Book Fair) রেকর্ড সংখ্যক ছোট প্রকাশক স্টল দিচ্ছেন। সংখ্যাটা প্রায় তিনশো ছুঁইছুঁই। এই নতুন প্রকাশকদের আগমনই এবার কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলার অন্যতম বিশেষ আকর্ষণ হতে চলেছে। ৩১ জানুয়ারি থেকে ১২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চলবে বইমেলা।
আগামিকাল সোমবার সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলার উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। উপস্থিত থাকবেন রাজ্যের অন্যান্য মন্ত্রী, গিল্ডের কর্মকর্তারা, থাকবেন সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় ও অংশগ্রহণকারী দেশের প্রতিনিধিরা। মোট ২০টা দেশ এবারের মেলায় অংশগ্রহণ করছে। মেলাপ্রাঙ্গণে থাকছে ৯৫০টি বইয়ের স্টল। এর বাইরে ৭০টি স্টল দেবে বাংলাদেশ। শনিবার সেন্ট্রাল পার্কে বইমেলা প্রাঙ্গণে সাংবাদিক বৈঠক করে সেকথা জানান গিল্ডের সভাপতি সুধাংশুশেখর দে এবং সাধারণ সম্পাদক ত্রিদিবকুমার চট্টোপাধ্যায়। তাঁদের কথায়, এবার প্রথম নিজস্ব মাঠ পেয়েছে কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। মোট ৯টা গেট হচ্ছে মেলাপ্রাঙ্গণে। থাকছে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা। সুধাংশুবাবু বলেন, ‘‘কোভিডের আগে শেষবার রেকর্ড ভিড় হয়েছিল বইমেলায়। ২৩-২৪ কোটি টাকার ব্যবসা হয়েছিল। মনে হচ্ছে এবার সেই রেকর্ড ছাপিয়ে যাবে। ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রো হয়ে যাওয়ার ফলে বইপ্রেমী মানুষদের যাতায়াতে সুবিধা হবে। তাছাড়া থাকবে বাড়তি বাসও।’’
[আরও পড়ুন: মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বিদ্যাসাগরকে, কেন প্রত্যাখ্যান করেন তিনি?]
এবারের বইমেলায় ৬৮ জন নতুন প্রকাশক রয়েছেন, যাঁদের স্টলের পরিমাপ ৫০ স্কোয়ার ফিটেরও কম। আর ২৭৬ জন রয়েছেন, যাঁদের স্টলের মাপ ১০০ স্কোয়ারফিট। ছোট প্রকাশকরা এবার প্রচুর সংখ্যায় দোকান নিতে চেয়েছেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচার করে তাঁরা এখানে দোকান দিয়েছেন। ফলে এবারের বইমেলা এক নতুন দিক নির্দেশ করছে ছোট প্রকাশকদের জন্য।