সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দূর থেকে প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিয়ে নয়, যে কোনও বিপর্যয়ের মুখে তিনি পথে নামতেই স্বচ্ছন্দ্য বোধ করেন। এর আগে বঙ্গ যেসব প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের মুখোমুখি হয়েছে, তার প্রতিটিতেই দেখা গিয়েছে, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) নিজে নবান্নে তৈরি কন্ট্রোলরুমে বসে গোটা পরিস্থিতি দেখে দরকারি পরামর্শ দিয়েছেন। কাজের তদারকি করেছেন। ‘ফণী’, ‘আমফান’-এর মতো শক্তিশালী ঘুর্ণিঝড়ের সময় তাঁর এতটাই সক্রিয়তা দেখা গিয়েছিল। এবার আসছে ‘যশ’ (Yaas)। তার মোকাবিলায়ও মুখ্যমন্ত্রী থাকবেন ফ্রন্টলাইনে। সূত্রের খবর, ২৫ এবং ২৬ মে, অর্থাৎ যে সময়ে ঘূর্ণিঝড়টি আছড়ে পড়বে বাংলার উপকূলবর্তী অঞ্চলে, ওই দুদিন নিজে কন্ট্রোলরুমে থাকবেন তিনি। নবান্নের পাশে উপান্নে তৈরি হবে বিশেষ কন্ট্রোলরুম। সেখানেই রাতভর থাকবেন মমতা। এ নিয়ে তিনি জেলাশাসক, পুলিশ সুপারদের সঙ্গে কথা বলে ফেসবুক পোস্টে যাবতীয় প্রয়োজনীয় কাজের নির্দেশ দিয়েছেন।
গত বছরের অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘আমফান’ (Amphan)তছনছ করে দিয়েছিল বাংলার উপকূলবর্তী জেলাগুলিকে। এখনও সেই ক্ষত মোছেনি। এরপর চলতি বছর চোখ রাঙাচ্ছে আরেক ঘূর্ণিঝড় ‘যশ’। এবারও অনেক আগে থেকেই প্রস্তুতি নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। উপকূলবর্তী জেলা অর্থাৎ দুই ২৪ পরগনা, পূ্র্ব মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলিতে ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় প্রস্তুতির পাশাপাশি কলকাতাতেও চলছে জোরদার পরিকল্পনা। আলিপুর হাওয়া অফিসের পূর্বাভাস অনুযায়ী কলকাতা পুরসভায় আলাদা কন্ট্রোলরুম খোলা হবে বলে জানা গিয়েছে। ভিডিও বৈঠকে দফায় দফায় আধিকারিকদের এই সংক্রান্ত নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিম। সমস্ত পুরকর্মীর ছুটি বাতিল হয়েছে আগামী সপ্তাহে। আসন্ন ঘূর্ণিঝড়ের কারণে ছুটি বাতিল বিপর্যয় মোকাবিলা ও পুলিশের। নবান্নের পাশে উপান্নেও একটি কন্ট্রোলরুম তৈরি হচ্ছে। এই কন্ট্রোলরুমেই ২৫ ও ২৬ তারিখ সারারাত থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী।
[আরও পড়ুন: রাজ্যেও হানা ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের, সংক্রমণ ঠেকাতে নয়া গাইডলাইন জারি স্বাস্থ্যদপ্তরের]
আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২২ তারিখ অর্থাৎ শনিবার থেকেই শক্তিশালী হবে ঘূর্ণিঝড়টি। ধীরে ধীরে শক্তি বাড়িয়ে ২৫ তারিখ থেকে তাণ্ডব শুরু করবে। ওইদিন থেতে বৃষ্টিতে ভাসতে পারে কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী এলাকা। তবে ‘যশ’ কবে, কোথায় আছড়ে পড়বে, তা এখনও বোঝা যাচ্ছে না। তবে ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনের চেষ্টার ত্রুটি নেই। পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী অঞ্চলে শনিবার দুপুর থেকেই মাইকিং শুরু হয়েছে। এলাকা পরিদর্শন করেছেন জেলাশাসক এবং আধিকারিকরা।