গৌতম ব্রহ্ম: গঙ্গাসাগর যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানাতে বুধবার সশরীরে গঙ্গার ঘাটে হাজির থাকবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নবান্ন সূত্রের খবর, বুধবার বিকাল চারটে নাগাদ আউট্রাম ঘাটে ট্রানজিট ক্যাম্পে গিয়ে পুণ্যার্থীদের সঙ্গে কথা বলবেন মুখ্যমন্ত্রী। যাত্রীদের শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি কোনওরকম অসুবিধা যাতে না হয়, সেটা আরও একবার নিজে দেখে নিতে চান মমতা।
এমনিতে, গঙ্গাসাগরের (Gangasagar) মেলা এবং মকর স্নান সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে ব্যবস্থাপনায় কোনও ত্রুটি রাখেনি রাজ্য সরকার। যাতায়াত থেকে শুরু করে পুণ্যস্নানের স্থান পর্যন্ত সব জায়গায় নিখুঁত বন্দোবস্ত করা হয়েছে। কপিল মুনির (Kapil Muni) আশ্রমের তরফে আশা করা হচ্ছে, এবছর প্রায় ৬০ লক্ষ মানুষ পুণ্যস্নানে অংশ নেবেন। যা এখনও পর্যন্ত রেকর্ড। স্বাভাবিকভাবেই সম্পূর্ণরূপে কেন্দ্রের সহযোগিতা ছাড়া এবছর মেলা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করাটা রাজ্যের পক্ষে রীতিমতো চ্যালেঞ্জের। রাজ্য সরকারও সেই চ্যালেঞ্জের জন্য তৈরি।
[আরও পড়ুন: মস্কো থেকে গোয়ায় ফেরা বিমানে বোমাতঙ্ক! ২৪৪ জন যাত্রী নিয়ে গুজরাটে জরুরি অবতরণ]
মুখ্যমন্ত্রী নিজে দু’দিন গঙ্গাসাগরে থেকে সমস্ত প্রস্তুতি খতিয়ে দেখে এসেছেন। সব প্রস্তুতি দেখে সন্তোষও প্রকাশ করেছেন তিনি। এবছর সাগর (Gangasagar) মেলায় অনেক কিছুই নতুন করে করা হচ্ছে। এই প্রথমবার সাগরে পুণ্যার্থীদের দেওয়া হবে সচিত্র পরিচয়পত্র। সাগর থেকেই ভিনরাজ্যের পর্যটকরা যাতে রাজ্যের অন্যান্য সব তীর্থক্ষেত্র দেখে নিতে পারেন, সেজন্য মেলা চত্বরেই তৈরি হয়েছে বাংলার মন্দির। যাতে রয়েছে রাজ্যের আরও পাঁচ মন্দিরের রেপ্লিকা।
[আরও পড়ুন: ঠান্ডার মধ্যেও সোয়েটার পরছেন না কেন? অবশেষে টি-শার্ট নিয়ে মুখ খুললেন রাহুল]
এবছর সাগরমেলায় বিশেষ ব্যবস্থা করা হচ্ছে হিন্দিভাষীদের জন্য। এমনিতেই বাংলায় প্রায় এক কোটি হিন্দিভাষী আছেন। তার পাশাপাশি বিভিন্ন রাজ্য থেকে বহু হিন্দিভাষী পুণ্যার্থী সাগরে আসেন। তাঁদের যাতে কোনওরকম অসুবিধা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে সাগরের রাস্তার সমস্ত ব্যানার, হোর্ডিং এবং পথনির্দেশকারী বোর্ডে বাংলার পাশাপাশি হিন্দিও লেখা থাকবে। সমস্তরকম প্রচারও বাংলার পাশাপাশি করা হবে হিন্দিতে। নিরক্ষরদেরও যাতে স্নানে অসুবিধা না হয়, সেটা নিশ্চিত করতে স্নানের ঘাটগুলিকে আলাদা আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।