শুভঙ্কর বসু: মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাট নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta HC) দায়ের হল জনস্বার্থ মামলা। বৃহস্পতিবার আইনজীবী বিপ্লব চৌধুরী এ নিয়ে একটি মামলা দায়ের করেন প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে। আবেদনে তিনি জানিয়েছেন, বিষয়টি নিয়ে বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ তদন্ত করলেও আলাদাভাবে একটি তদন্ত করা উচিৎ। শুক্রবার সেই জনস্বার্থ মামলার শুনানির সম্ভাবনা বলে জানা গিয়েছে।
সপ্তাহ দুই আগে বারাণসী (Varanasi) সফরে গিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির (SP) হয়ে নির্বাচনী প্রচার সেরে শুক্রবার বিমানে চড়ে কলকাতায় ফেরেন তিনি। বিমানটি দুপুর ২টো ২৮ মিনিটে বারাণসী থেকে ওড়ে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সর্বক্ষণের নিরাপত্তা আধিকারিকরা। কলকাতায় নামার পনেরো মিনিট আগেই বিভ্রাট হয় বিমানটিতে। দমদম বিমানবন্দরে (DumDum Airport) বিমানটি অবতরণের আগে প্রচণ্ড ঝাঁকুনি হয়। দু’দিকে দুলতে দুলতে বিমানটি নেমে আসতে থাকে। এক নিমেষে প্রায় ১০০ মিটার পর্যন্ত নেমে আসে সেটি। এই ঘটনার পর রাজ্য সরকারের তরফে চাপ দেওয়া হয় ডিজিসিএ-কে। যার জেরে ঘটনা নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু হয়। রিপোর্টে বলা হয়, খারাপ আবহাওয়ার জন্য ATC’র অনুমতি নিয়েই বিমানটি নিচে নামানো হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: বিধানসভা ভোটে অভিষেকেই ছক্কা যোগীর, পৃথক আসনে লড়েও ‘হারালেন’ অখিলেশকে]
সোমবার, বিধানসভা শুরুর দিন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)বলেন, ”খারাপ আবহাওয়া নয়, আমার বিমানটির সামনে অন্য একটি বিমান এসে গিয়েছিল। পাইলট দক্ষতার সঙ্গে বিমানটি নামিয়ে নিয়ে রক্ষা করেছে। ১০ সেকেন্ডের জন্য বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা মিলেছে।” কেন বারবার মুখ্যমন্ত্রীর বিমানেই এমন বিভ্রাট? এই প্রশ্ন তুলে দমদম বিমানবন্দরের কর্মীদের একাংশ বিক্ষোভও দেখান।
[আরও পড়ুন: Punjab Election Result: দলীয় কোন্দলেই পাঞ্জাবে ভরাডুবি কংগ্রেসের? কাঠগড়ায় সিধু]
এরপর বৃহস্পতিবার আইনজীবী বিপ্লব চৌধুরী জনস্বার্থ মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর আবেদন, ২০১৬ সালেও মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে এধরনের বিভ্রাট হয়েছিল। এবারও হল। তাই এর নিরপেক্ষ ও যথাযথ তদন্ত হওয়া উচিত। এই মর্মে প্রধান বিচারপতি প্রকাশ শ্রীবাস্তব ও বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজের বেঞ্চতে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছে। শুক্রবার তার শুনানি হতে পারে।