সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে প্রতিবাদের পরও এতদিন তিনি নীরবই ছিলেন। অবশেষে হাথরাস গণধর্ষণ কাণ্ড (Hathras Gang Rape) নিয়ে মুখ খুললেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ (Yogi Adityanath)। হাথরাসের ঘটনা নিয়ে উত্তাল দেশ। উত্তরপ্রদেশ প্রশাসনের ব্যর্থতাকে এই ধরনের অপরাধের জন্য দায়ী করে যোগীর পদত্যাগ দাবি করেছেন কংগ্রেস নেত্রী প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু যোগী এবিষয়ে এতদিন কিছুই বলেননি। অবশেষে শুক্রবার টুইট করে তিনি জানিয়ে দিলেন, দোষীরা এমন শাস্তি পাবে যা ভবিষ্যতে উদাহরণ হয়ে থাকবে।
কেবল হাথরাসই নয়, সম্প্রতি রাজ্যের বলরামপুর, বুলন্দশহর ও আজমগড়েও নারকীয় যৌন নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। পরপর এই ধরনের ঘটনায় গর্জে উঠেছে দেশ। এছাড়াও হাথরাসের নির্যাতিতার বাবাকে জোর করে মুচলেকা লিখিয়ে নেওয়ার অভিযোগও উঠেছে। স্বভাবতই চাপে ছিলেন যোগী আদিত্যনাথ। অবশেষে শুক্রবার নীরবতা ভঙ্গ করে টুইট করলেন তিনি।
হিন্দিতে করা টুইটে তিনি লেখেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশের মা-বোনেদের সম্মান ও আত্মমর্যাদার ক্ষতি করার কথা যারা কেবল ভাববেও, তাদের সমূলে বিনাশ নিশ্চিত। তারা এমন শাস্তি পাবে যা ভবিষ্যতে দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে। আপনাদের উত্তরপ্রদেশ সরকার প্রতিটি মা-বোনের সুরক্ষা ও উন্নয়নের জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এটা আমাদের সংকল্প। আমাদের প্রতিজ্ঞা।’’
[আরও পড়ুন: হাথরাসের পথে তৃণমূলের প্রতিনিধিদলের পথ আটকাল পুলিশ! সাংসদদের হেনস্তার অভিযোগ]
এদিকে শুক্রবারই এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারকে কার্যত গৃহবন্দি করে রাখা হয়েছে। নির্যাতিতার বাড়িতে প্রায় ২০০ পুলিশকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। বাড়ির সদস্যদের ফোনও তাঁদের কাছ থেকে নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। নির্যাতিতার ভাই জানিয়েছে, তাদের পরিবারের কাউকে বাড়ি থেকে বেরতে দেওয়া হচ্ছে না। কারও সঙ্গে কথা বলতে দেওয়া হচ্ছে না। ফোনও বন্ধ করে রাখা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৪ সেপ্টেম্বর উত্তরপ্রদেশের হাথরাস জেলার ওই দলিত যুবতী ধর্ষণ এবং নৃশংসতার শিকার হন। দিল্লির সফদরজং হাসপাতালে মঙ্গলবার সকালে তাঁর মৃত্যু হয়। কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী যোগী সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে দাবি করেন, উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের নিরাপত্তার কোনও চিহ্নমাত্র নেই। যোগী আদিত্যনাথের উদ্দেশে তিনি টুইট করে লেখেন, ‘‘উত্তরপ্রদেশে মহিলাদের নিরাপত্তার জন্য আপনি দায়বদ্ধ।’’
[আরও পড়ুন: উৎসবের মরশুমে ২০০টি বিশেষ ট্রেন চালাবে রেল, শুরু পরিকল্পনা]
বৃহস্পতিবার হাথরাসের নির্যাতিতার পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে যান প্রিয়ঙ্কা গান্ধী ও রাহুল গান্ধী। কিন্তু দুই কংগ্রেস নেতা-নেত্রীর পথ আটকে দেয় পুলিশ। রাহুল অভিযোগ করেন, পুলিশ তাঁকে মাটিতে ফেলে লাঠিপেটা করেছে। একই ভাবে শুক্রবার হাথরাসে যাওয়ার সময় তৃণমূল কংগ্রেসের প্রতিনিধিদলের পথও আটকায় উত্তরপ্রদেশের পুলিশ। তৃণমূল সাংসদদের হেনস্তা করার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে।
The post ‘দোষীদের শাস্তি দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে’, হাথরাস নিয়ে নীরবতা ভেঙে দাবি যোগীর appeared first on Sangbad Pratidin.