শুভঙ্কর বসু: কয়লা পাচার কাণ্ডে তল্লাশি চালাতে গেলে লাগবে না রাজ্যের অনুমতি। সিবিআইকে বড়সড় স্বস্তি দিয়ে সাফ জানাল কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত আরও জানিয়েছে, অভিযুক্ত অনুপ মাঝি ওরফে লালা-সহ অন্য অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে তদন্ত চালাতে পারবে সিবিআই। ২৩ মার্চের মধ্যে সব পক্ষকে হলফনামা জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে ডিভিশন বেঞ্চ। ২৭ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি।
[আরও পড়ুন: অমিত শাহের অনুষ্ঠানে ঢুকতে বাধা বিজেপি বিধায়ক বিশ্বজিৎ দাসকে, তুঙ্গে জল্পনা]
গত সোমবার সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চে আবেদন জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি। কয়েকদিন আগে কয়লা পাচার কাণ্ডে রাজ্যের সহযোগিতা নিয়ে তল্লাশি চালাতে হবে বলে সিবিআইকে নির্দেশ দিয়েছিল কলকাতা হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। আর এতেই আপত্তি ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটির।
রাজ্যে কয়লা ও গরু পাচার মামলায় দ্রুত তদন্ত করছে সিবিআই। বিধানসভা নির্বাচনের আগে এনিয়ে রীতিমতো সরগরম রাজ্যের রাজনীতি। কয়লা পাচার মামলায় অনুপ মাঝি ওরফে লালার নামে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। তবে, এই মামলায় সিবিআইয়ের তদন্ত করার এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অভিযুক্ত। কয়েকদিন আগেই হাই কোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চে ওই এফআইআরকে চ্যালেঞ্জ করে লালা। দীর্ঘ শুনানি শেষে সিবিআইয়ের বিরুদ্ধে লালার করা মামলা খারিজ করে দেয় আদালত। সিবিআইয়ের এফআইআরের বিরুদ্ধে কোনও হস্তক্ষেপ না করার পাশাপাশি, আইন অনুযায়ী তারা তদন্ত চালাতে পারবে বলেও স্পষ্ট জানিয়েছিলেন হাই কোর্টের বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য। তিনি আরও জানিয়েছিলেন যে, রেলের এক্তিয়ারভুক্ত এলাকা ছাড়া এই মামলায় তল্লাশি চালাতে গেলে রাজ্যের সহযোগিতা নিতে হবে। এমনকী, যৌথভাবে তল্লাশি চালানোর কথাও কলকাতা হাই কোর্ট তার নির্দেশে জানিয়েছিল বলেই খবর। আর তাতেই আপত্তি জানিয়েছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাটি।
এদিকে, গরু পাচার কাণ্ডে কলকাতায় বিনয় মিশ্রর বাড়িতে তল্লাশি চালিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। আজ সকালে চেতলার ধর্মদাস লেনে তার বাড়িতে হানা দেন গোয়েন্দারা। একই সঙ্গে একাধিকবার হাজিরা এড়িয়ে যাওয়ায় শেষমেশ বিনয় মিশ্রর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে সিবিআই।