সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কয়লা পচার কাণ্ডে এবার অনুপ মাজি ওরফে লালা ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ী অমিত আগরওয়ালকে সমন পাঠাল সিবিআই। আগামী সোমবার তাঁকে কলকাতায় তদন্তকারী সংস্থাটির নিজাম প্যালেসের দপ্তরে ডেকে পাঠানো হয়েছে।
[আরও পড়ুন: কর্মসংস্থান থেকে সরাসরি অর্থসাহায্য, ইস্তেহার প্রকাশের আগেই ‘অঙ্গীকারপত্রে’ চমক তৃণমূলের]
সূত্রের খবর, কয়লা পাচার কাণ্ডে শুরু থেকেই সিবিআইয়ের নজরে ছিলেন লৌহ ইস্পাত শিল্পগোষ্ঠীর মালিক অমিত আগরওয়াল ও সনু আগরওয়াল। এই দুই ভাই কুলটির বরাকরের আদি বাসিন্দা। তাঁদের ঝাড়খণ্ড, দুর্গাপুর, কাঁকসা, বাঁকুড়ায় ১৩-১৪টি কারখানা রয়েছে। সূত্রের খবর, সেই লৌহ ইস্পাত কারখানা চালাতেই লালার কাছে থেকে অবৈধভাবে কয়লা কিনতেন তাঁরা বলে অভিযোগ। অনুপ মাজি ওরফে লালা কাকে পাচার করত কয়লা? কে কিনত ওই বিপুল পরিমাণ অবৈধ কয়লা? সেই ক্রেতাদের হদিশ পেতে গতকাল বা মঙ্গলবার রাজ্যে তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা (CBI)। কলকাতার (Kolkata) শেক্সপিয়র সরণি-সহ রাজ্যের পাঁচ এলাকায় তল্লাশি চালায় সিবিআইয়ের তদন্তকারী দল। গতকাল ১০ জন তদন্তকারী আধিকারিক অমিত আগরওয়াল ও সনু আগরওয়ালেরর বরাকরের বাড়িতে হাজির হন। সেখানে দুজনের খোঁজ মেলেনি। পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করছেন ওই আধিকারিকরা। এদিকে শেক্সপিয়র সরণীতে তাদের অফিসে অভিযান চালিয়ে বেশ কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা।
উল্লেখ্য, অমিত ও সনুর বিরুদ্ধে এর আগেও একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। বছর দুয়েক আগে তাঁদের বাড়িতে হানা দিয়েছিল জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা NIA। দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে ঝাড়খণ্ডের মাওবাদিদের অর্থ সাহায্যের অভিযোগ রয়েছে। সব মিলিয়ে কয়লা পাচার কাণ্ডে জড়িতদের যে কোনও উপায়ে জালে পুরতে মরিয়া সিবিআই। তবে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেন্দ্রীয় তদতনকারী সংস্থাগুলির অতি-সক্রিয়তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। প্রসঙ্গত, গতকাল কয়লা ও গরু পাচার কাণ্ডে বিনয় মিশ্রর ভাই বিকাশ মিশ্রকে গ্রেপ্তার করা হয়। পাচারচক্রে জড়িত থাকার অভিযোগে তাঁকে দিল্লি থেকে গ্রেপ্তার করেছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ED)।