সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলেজিয়াম বিতর্কে কেন্দ্র এবং বিচারব্যবস্থার বিবাদ প্রসঙ্গে সুপ্রিম কোর্টকে (Supreme Court) কটাক্ষ করেছিলেন উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ খনখড় (Jagdeep Dhankhar)। প্রত্যাশিতভাবেই তিনি কেন্দ্রের পক্ষ নিয়েছিলেন। আর এই প্রসঙ্গেই বৃহস্পতিবার রীতিমতো ভর্ৎসনার সুরে শীর্ষ আদালত জানিয়ে দিল, এই ধরনের মন্তব্যকে ভালভাবে নেওয়া হচ্ছে না। সেই সঙ্গে এটাও পরিষ্কার করে দেওয়া হল কেন্দ্রকে কলেজিয়াম ব্যবস্থাই মানতে হবে। নিঃসন্দেহে এহেন সুপ্রিম মন্তব্যে অস্বস্তিতে কেন্দ্র।
এদিন বিচারপতি সঞ্জয় কিষান জানিয়ে দিয়েছেন, ”উচ্চ সাংবিধানিক পদাধিকারীর প্রকাশ্যে সুপ্রিম কোর্ট কলেজিয়াম নিয়ে এই ধরনের মন্তব্যকে খুব ভালভাবে নিতে পারছি না।” এরপর তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেন বলেন, ”যদি সমাজের সমস্ত বিভাগ বলতে শুরু করে, কোন আইন মানা হবে, কোনটা মানা হবে না তাহলে পরিস্থিতি ব্রেক ডাউনের দিকে চলে যাবে।”
[আরও পড়ুন: ঘরে-বাইরে বিরোধিতা সামলেও গুজরাট বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী জাদেজার স্ত্রী]
ঠিক কী নিয়ে বিবাদ কেন্দ্র ও শীর্ষ আদালতের? আসলে বিচারপতি নিয়োগ নিয়ে কেন্দ্র এবং শীর্ষ আদালতের মধ্যে কার্যত বিবাদের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের যে পদ্ধতি দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে, তাতে আপত্তি জানিয়ে প্রায় নিয়মিত কোনও না কোনও বয়ান দিচ্ছে কেন্দ্র। তাতে ইতিমধ্যেই আপত্তি জানিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। সুপ্রিম কোর্টের অভিযোগ, কলেজিয়ামের সুপারিশ মেনে বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে ঢিলেমি করছে কেন্দ্র। বিচারবিভাগে নিয়োগের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের ভূমিকা হতাশাজনক।
আর এই বিতর্কেই কয়েকদিন আগে ঢুকে পড়েন ধনখড়। ২০১৪ সালের বিচারব্যবস্থার নিয়োগ আইন প্রসঙ্গ তুলে তিনি অভিযোগ করেন, সুপ্রিম কোর্ট সংসদ ভবনকে অবজ্ঞা করেছে। আর সংসদকে অবজ্ঞা করা মানে মানুষের ইচ্ছাকে অবজ্ঞা করা। কারণ সংসদের সিদ্ধান্তে মানুষের ইচ্ছাই প্রতিফলিত হয়। ঘটনাচক্রে ধনকড় যখন এই কথাগুলি বলছিলেন, তখন তাঁর পাশে বসে ছিলেন খোদ প্রধান বিচারপতি। এরপরই বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। অবশেষে এই মন্তব্য সুপ্রিম কোর্টের।