সন্দীপ চক্রবর্তী, উদয়পুর: দলের প্রতীকে ভোটে দাঁড়িয়েছেন। কিন্তু, ত্রিপুরায় ভোট বৈতরণী পেরোতে ভগবানেই ভরসা রাখছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা। প্রচারের ফাঁকে ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে মাথা ঠেকাচ্ছেন সকলেই। এমনকী, বাদ যাচ্ছেন না বাম প্রার্থীরাও। বুধবার, শিবরাত্রির সকাল থেকে ত্রিপুরাশ্বেরীর মন্দিরে ভক্তদের ভিড়। সেই সুযোগেই ভোটের প্রচারও সেরে নিচ্ছেন সব দলের নেতা-কর্মীরা। দেবী ত্রিপুরেশ্বরী ও ছোট মায়ের কাছে প্রার্থনা একটাই, ভোটে জিতিয়ে দাও মা।
[সাহস থাকে তো সীমান্তে দাঁড়িয়ে লড়াই করুন ভাগবত, আক্রমণাত্মক ওয়েসি]
ত্রিপুরার গোমতী জেলার উদয়পুরে অবস্থিত ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির। মন্দিরটি মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত। ৫১টি শক্তিপীঠের অন্যতম এই মন্দিরটি কুরমপিঠ নামেও পরিচিত। কথিত আছে, সতীর ডান পায়ের পাতা পড়েছিল উদয়পুরে। ১৫০১ সালে স্বপ্নাদেশ পেয়ে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম থেকে দেবী ত্রিপুরেশ্বরীর বিগ্রহ এনে উদয়পুরে প্রতিষ্ঠা করেন ত্রিপুরার তৎকালীন রাজা ধন্যমানিক্য। পরবর্তীকালে আরও একটি মূর্তি পান রাজা কল্যাণ মানিক্য। মূল বিগ্রহের পাশে সেটিকে প্রতিষ্ঠা করা হয়। ওই বিগ্রহটি ছোট মা নামে পরিচিত। কচ্ছপ আকৃতির এই মন্দির লাগোয়া দিঘিতে রয়েছে মাছ ও কচ্ছপ।
[১০ হাজার কোটির জালিয়াতির গেরোয় পাঞ্জাব ন্যাশনাল ব্যাংক, পতন শেয়ারের দামে]
এই ত্রিপুরেশ্বরী মন্দির যে বিধানসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত, সেই মাতাবাড়ি বিধানসভা কেন্দ্রের বাম প্রার্থী মাধব দত্ত। এই কেন্দ্র থেকে পরপর চারবার বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছেন তিনি। বুধবার মন্দির চত্বরে ভোটের প্রচার সারছিলেন বাম দলের কর্মী-সমর্থকরা। কয়েকজন তো আবার মন্দিরে পুজো দিয়ে এলেন। সিপিএম কর্মী বিদ্যুৎ সরকার বললেন, আমাদের সরকার যাই আবার আসে। মাকে সেটাই বলে এলাম আর কী!’ মঙ্গলবার ত্রিপুরেশ্বরী মন্দিরে ঘুরে গিয়েছেন মাতাবাড়ি কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী বিপ্লবকুমার ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, ‘এই মন্দিরকে কেন্দ্র পর্যটন তৈরি করার কথা ছিল। কিন্তু তা হয়নি।’ একই অভিযোগ কংগ্রেস ও তৃণমূলেরও। বিজেপি বিরুদ্ধে এই মন্দিরকে হাতিয়ার করে ধর্মীয় উসকানিরও অভিযোগ তুলেছে তারা।
[যুগল দেখলেই হেনস্তা, ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে নীতি পুলিশির রমরমা উত্তর থেকে দক্ষিণে]
The post ত্রিপুরায় ভোটে জিততে ত্রিপুরেশ্বরীর মন্দিরে মাথা ঠেকাচ্ছে বামেরাও appeared first on Sangbad Pratidin.