নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: মৃত্যুর শংসাপত্রে উল্লেখ থাক বা না থাক, কোভিডে (COVID-19) মৃতদের নিকট আত্মীয়কে দ্রুত ক্ষতিপূরণ দিতে হবে রাজ্যগুলিকে। সোমবার এক মামলার পর্যবেক্ষণে এই বক্তব্য রেখে কোভিড ক্ষতিপূরণে সিলমোহর দিয়ে দিল শীর্ষ আদালত।
কোভিডে মৃতদের জন্য সুপ্রিম কোর্টের (Supreme Court) নির্দেশে নীতি নির্ধারণ করতে গিয়ে সম্প্রতি কেন্দ্র জানিয়েছিল, রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তরের মাধ্যমে জেলা স্তরে কোভিডে মৃতদের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেবে। এরপর একে একে ‘কোভিড মৃত’দের সংজ্ঞায় জুড়তে থাকে নতুন নতুন নির্দেশিকা।
[আরও পড়ুন:লখিমপুরের হিংসায় খালিস্তানি যোগ! চাঞ্চল্যকর দাবি নিহত কৃষকদের পরিবারের]
আদালত নির্দেশ দেয় কোনও মৃতের সার্টিফিকেটে যদি মৃত্যুর কারণ হিসাবে কোভিডের উল্লেখ না থাকে, অথচ পরিবারের সদস্যরা যদি তাঁর কোভিড আক্রান্তের প্রমাণ দিতে পারেন, তাহলে সেই মৃত্যুও কোভিডে মৃত্যু বলেই গণ্য হবে। এমনকী কোভিডে আক্রান্ত হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে কেউ আত্মহত্যা করলেও তা বিবেচিত হবে কোভিড মৃত্যু হিসাবে। এই ধরনের মৃত্যুর ক্ষেত্রে স্বাভাবিকভাবেই শংসাপত্রে কোভিডের উল্লেখ থাকবে না। তবু তাঁদের পরিজনদের অতিমারীর গ্রাস থেকে রক্ষা করতে দিতে হবে ক্ষতিপূরণ। এবং এর জন্য কোনওরকম গড়িমসি সহ্য করা হবে না। আবেদনের সর্বোচ্চ ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে মৃতের নিকট আত্মীয়কে। কোনও পরিজন না থাকলে তাঁর উপর নির্ভরশীল থাকা ব্যক্তিকে দিতে হবে সেই টাকা।
ক্ষতিপূরণের আবেদনের জন্য প্রতিটি রাজ্য নিজেদের মত করে ফর্ম প্রকাশ করবে। তা পূরণ করে বিভিন্ন নথি-সহ জমা দিতে হবে জেলাশাসকের অফিসে। মৃত্যু শংসাপত্র নিয়ে কোনওরকম বিভ্রান্তি বা সমস্যা যাতে না থাকে, তা খতিয়ে দেখার জন্য জেলাস্তরে কমিটি তৈরির নির্দেশও দেওয়া আছে। মৃত্যুর কারণ হিসাবে এই কমিটির সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হিসাবে গণ্য হবে।