সুমিত বিশ্বাস, পুরুলিয়া: শহর পুরুলিয়ার পর ঝালদা পুর শহর। জল চুরির ঘটনায় হৈ চৈ। শহর পুরুলিয়ার মতো পাইপ ফুটো করে জল চুরি নয়। ঝালদা পুর শহরে একেবারে দিনের বেলায় টাইম কলের মুখে পাইপ লাগিয়ে তা ঘরে নিয়ে জল চুরি করা হচ্ছে। এমন ছবি ধরা পড়েছে এই পুর শহরে। প্রখর দাবদহে এই পুর শহরে যখন পানীয় জলের হাহাকার। তখন এমন জল চুরিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে এই শহরে। জল চুরির কথা কানে এসেছে ঝালদার পুরপ্রধান শিলা চট্টোপাধ্যায়ের। তিনি বলেন, “এই জিনিস কোনভাবেই বরদাস্ত করা হবে না। নজরদারি শুরু হবে। ধরা পড়লে কড়া ব্যবস্থা নেব আমরা। “
জল চুরি ঠেকাতে ঝালদার পুরপ্রধান এমন কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তৃণমূলের কাউন্সিলররা বলছেন, এই পুরসভা পানীয় জল দিতে যেমন ব্যর্থ। তেমন জল চুরি ঠেকাতেও সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছে। কংগ্রেস পরিচালিত পুরসভার ব্যর্থতার কারণেই ঝালদা পুর শহরে আজ পানীয় জলের এমন হাহাকার পড়েছে। ফি বছরই এই পুর শহরে পানীয় জলের সমস্যা হয়। কিন্তু এবার সবকিছুকে ছাপিয়ে গিয়েছে বলে তৃণমূল কাউন্সিলরদের অভিযোগ। অভিযোগ এই শহরের ডোমপাড়া, বাঁধাঘাট এলাকায় এইভাবে টাইম কলের মুখে পাইপ লাগিয়ে একেবারে প্রকাশ্যে জল চুরি হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: চার বছরে স্নাতক কোর্স, বাংলার একাধিক বিশ্ববিদ্যালয়ে চালু জাতীয় শিক্ষানীতি]
ঝালদার প্রাক্তন উপ-পুরপ্রধান তথা তৃণমূলের কাউন্সিলর সুদীপ কর্মকার বলেন, “অবিলম্বে এই বিষয়ে পুরসভাকে পদক্ষেপ গ্রহণ করতে হবে। না হলে আমরা আন্দোলনে নামব। ” এই পুর শহরে জলের সমস্যা কেন এত বেশি তার খোঁজ নিতে কিছুদিন আগে শহর ঘুরে দেখছিলেন জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি বিভাগের আধিকারিকরা। তাঁদের চোখেই ধরা পড়েছিল পাইপ ফুটো করে জল চুরির বিষয়টি। কিন্তু টাইম কলের মুখে পাইপ লাগিয়ে তা ঘরে নিয়ে যাওয়ার বিষয়টি তারা জানতেন না। এমন জল চুরির কথা শুনে হতবাক তাঁরাও।