সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পঞ্চায়েত ভোটের হাওয়া পুরভোটে স্থায়ী হল না। রাজস্থানের (Rajasthan) পুর নির্বাচনে আসনের নিরিখে তৃতীয় স্থানে চলে গেল বিজেপি। প্রথমে কংগ্রেস (Congress) ও দ্বিতীয় স্থানে নির্দল। এখনও অবশ্য বোর্ড গঠন বাকি।
১২টি জেলায় ৫০টি পুরবোর্ডের ১৭৭৫টি আসনে নির্বাচন হয়েছিল রাজস্থানে। এখনও পর্যন্ত ১৭৭৪টি আসনের ফল ঘোষিত হয়েছে। কংগ্রেস পেয়েছে ৬২০টি, নির্দল প্রার্থীরা পেয়েছেন ৫৯৫টি ও বিজেপি পেয়েছে ৫৪৮টি আসন। তবে বোর্ড গঠন করতে দুদলেরই ভরসা হবে নির্দল প্রার্থীরা। তবে উল্লে্খ্য, কৌশলগত ভাবেই কংগ্রেস বেশকিছু আসনে নির্দল প্রার্থী দাঁড় করিয়েছিলেন। তাঁদের সেই কৌশল কাজেও এসেছে। জয় পেয়েছেন সেই সমস্ত প্রার্থীরা।
রাজস্থানের পঞ্চায়েত ভোটে মুখ থুবড়ে পড়েছিল কংগ্রেস। শহরাঞ্চলে সেই হাওয়া ঘোরাতে সক্ষম হয়েছে অশোক গেহলট। আহার উলটোদিকে বরাবরই শহরাঞ্চলে ভাল ফল করে বিজেপি। এবার তা হল না। তেলেঙ্গানা পুরভোটের পর রাজস্থানের পুর নির্বাচনে বিজেপির হার, নেতৃত্বকে ভাবাবে বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
[আরও পড়ুন : ‘এটা পাকিস্তান নয়, হিন্দুরাই মমতাকে উপযুক্ত জবাব দেবেন’, তোপ প্রজ্ঞা ঠাকুরের]
এই ফলাফলকে অবশ্য হার হিসেবে দেখতে রাজি নয় বিজেপি। তাঁদের দাবি, সময় এখনও আছে। কে কটা বোর্ড গঠন করে দেখা যাবে। উল্লেখ্য. গত বছর ৩৪টি বোর্ড গড়েছিল বিজেপি। এবার তাঁদের দৌঁড় ৯-য়েই থামিয়ে দেওয়া যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। এই তিন পক্ষ ছাড়াও ভোটের ফলে দেখা গিয়েছে, বিএসপি পেয়েছে সাতটি আসন, দুটি করে আসন জিতেছে সিপিআই ও সিপিএম, একটি আসন জিতেছে আরএলপি।
রাজ্যে ক্ষমতায় থাকা সত্ত্বেও রাজস্থানের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বিজেপির থেকে কম আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। যা দলের পক্ষে বড়সড় ধাক্কা। কারণ, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল মূলত রাজ্যের শাসকদলের পক্ষে যাওয়ার প্রবণতাই বেশি দেখা যায়। আর তাছাড়া, এতদিন পর্যন্ত শহরাঞ্চলের থেকে গ্রামাঞ্চলেই বেশি সাফল্য পেয়ে আসছিল কংগ্রেস (Congress)। পঞ্চায়েতে বিজেপির থেকে কম আসন পাওয়াটা তাই একই সঙ্গে মরুরাজ্যে গেহলট সরকারের নীতি এবং কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছিল। পুরভোটের ফলাফলে গেহলট সরকারকে অক্সিজেন জোগাবে বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।