সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ভারতের সংসদীয় গণতন্ত্র সবচেয়ে কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে। রবিবার দলের নবনির্বাচিত সাধারণ সম্পাদকদের নিয়ে এক বৈঠকে এমনটাই দাবি করেছেন কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী (Sonia Gandhi)। সোনিয়ার দাবি, মোদি সরকারের অদক্ষতা গোটা দেশকে বিপদের অতল গহ্বরে ঠেলে দিয়েছে। এদিনের বৈঠকে কৃষি আইন, করোনা পরিস্থিতি, অর্থনীতি, এবং গণতন্ত্র নিয়ে কেন্দ্রকে তীব্র আক্রমণে বিঁধেছেন কংগ্রেস সভানেত্রী।
কৃষি বিলের জন্য লক্ষ লক্ষ কৃষকের জীবন আজ বিপন্ন। কৃষকদের স্বার্থ কর্পোরেটদের কাছে বন্ধক রাখতে চাইছে সরকার। সুকৌশলে কংগ্রেস (Congress) আমলে যে সবুজ বিপ্লব হয়েছিল, তা চাপা দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে। নতুন কৃষি আইন এই সুরেই কেন্দ্রকে বিঁধেছেন সোনিয়া। আসলে, কংগ্রেসের নতুন সাধারণ সম্পাদক তথা বিভিন্ন রাজ্যের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের আগামী দিনের রণকৌশল বুঝিয়ে দিতেই রবিবার ওই বৈঠক ডেকেছিলেন সোনিয়া। আর আগামী দিনে কৃষি আইনই যে কংগ্রেসের প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হতে চলেছে, সেটা ভালমতোই বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি। কংগ্রেস সভানেত্রীকে বলতে শোনা গিয়েছে,”ক্ষেতমজুর, দিনমজুর, ছোট প্রান্তিক কৃষকদের জীবনে দুর্দিন ডেকে আনবে এই কৃষি আইন।”
[আরও পড়ুন: সভায় যোগ দিতে গিয়ে চাষির মৃত্যু, উপেক্ষা করেই বক্তৃতা দিলেন জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া]
করোনা নিয়ন্ত্রণে কেন্দ্রের ভূমিকা নিয়েও ঘোরতর সমালোচনা করেন সোনিয়া। কংগ্রেস সভানেত্রী বলেন,”মোদি সরকারের অদক্ষতায় আজ খাদের কিনারে দেশ। প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন ২১ দিনে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হবে। সেটা তো হয়ইনি। উলটে অর্থনীতি তলানিতে। বেকারদের জন্য নতুন কর্মসংস্থানের সুযোগ নেই। অথচ, কোভিড পরিস্থিতিতে ১৪ কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছেন।” সোনিয়ার দাবি, আর্থিক প্যাকেজের নামে শুধু চমক দিয়েছে কেন্দ্র।
[আরও পড়ুন: শীতে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ের সম্ভাবনা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না, বলছে কেন্দ্রের বিশেষজ্ঞ দল]
হাথরাসের ঘটনাকে হাতিয়ার করে দেশে দলিতদের উপর অত্যাচার নিয়েও সরব হন কংগ্রেস সভানেত্রী। তিনি বলেন, দেশে কখনও ধর্মের নামে, কখনও জাতপাতের নামে বিভাজন করার চেষ্টা করা হচ্ছে। এই সরকারের আমলে দলিত আদিবাসীদের অত্যাচার মাত্রা ছাড়িয়েছে। বিজেপিশাসিত রাজ্যগুলিতে জঙ্গলরাজ চলছে।