সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: জোট জিতেছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা ওমর আবদুল্লা। তবে আনন্দের মাঝেই হাত শিবিরে বিষাদের সুর। খাতায় কলমে জোট সাফল্য পেলেও লজ্জার হার হয়েছে কংগ্রেসের। ৯০ আসনের জম্মু ও কাশ্মীরে মাত্র ৬টি আসনে জয় পেয়েছে তারা। ১০ বছর পর হওয়া নির্বাচনে কেন এত খারাপ ফল তার কারণ খুঁজতে তদন্তে নামছেন হাত শিবিরের নেতারা। যার জন্য গঠন করা হল কমিটি।
জম্মু ও কাশ্মীর প্রদেশ কংগ্রেস কমিটির প্রধান তারিক হামিদ স্বীকার করে নেন উপত্যকায় এবার নির্বাচনের ফলাফল অত্যন্ত শোচনীয়। দল কেন এত খারাপ ফল করল তা খুঁজে বের করতে ৭ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। এই কমিটি উপত্যকায় দলের সাম্প্রতিক অবস্থা সম্পর্কে বিশদে তদন্ত করবে। একইসঙ্গে কীভাবে এখানে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যার আগামী ৩০ দিনের মধ্যে সে বিষয়েও বিস্তারিত রিপোর্ট দেবে এই কমিটি। ৭ সদস্যের এই কমিটির শীর্ষে রয়েছেন কংগ্রেসের বরিষ্ঠ নেতা রবিন্দর শর্মা। পাশাপাশি কমিটিতে রয়েছেন জাহাঙ্গির মির, নরেশ গুপ্তা, ঠাকুর বলবান সিং, শাহ মহম্মদ চৌধুরী, বেদ মহাজন ও দিননাথ ভগত।
উল্লেখ্য, সদ্য শেষ হওয়া জম্মু ও কাশ্মীরের বিধানসভা নির্বাচনে এবার ন্যাশনাল কনফারেন্সের সঙ্গে জোট বেঁধে লড়েছিল কংগ্রেস। ভোটের ফল প্রকাশের পর দেখা যায়, ৯০ আসনের মধ্যে ৪২ টি আসন জিতে সর্ববৃহৎ দলের তকমা পেয়েছে ওমর আবদুল্লার দল। কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬টি। এই দুই সংখ্যার ভিত্তিতে ইন্ডিয়া জোট ম্যাজিক ফিগার পার করলেও, ভূস্বর্গে কংগ্রেসের অস্তিত্ব যে সংকটে তা স্পষ্ট ধরা পড়ে এই নির্বাচনে। রিপোর্ট অনুযায়ী, জম্মুতে এবার ২৯টি আসনে লড়েছিল হাত শিবির। সেখানে মাত্র একটি আসনে জয় এসেছে। বাকি ৫টি এসেছে কাশ্মীর থেকে। অন্যদিকে, আড়েবহরে আরও বেড়েছে বিজেপি। এবার ২৯টি আসনে জয় পেয়েছে তাঁরা।
চরম খারাপ ফলের জেরে কংগ্রেসের তরফে ইতিমধ্যেই ঘোষণা করা হয়েছে, ওমর আবদুল্লার সরকারের অংশ হবে না কংগ্রেস। তবে বাইরে থেকে সরকারকে সমর্থন দেবে তারা। দলের হারের কারণ খোঁজার পাশাপাশি নতুন করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা কমিটিও গঠন করা হয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রদেশ কংগ্রেসের তরফে। এই কমিটির চেয়ারম্যান হয়েছেন মুলা রাম বাঘাত।