গোবিন্দ রায়: ঝালদা পুরসভার ৬ বিরোধী কাউন্সিলরকে রক্ষাকবচ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আগামী ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত পুলিশ তাঁদের বিরুদ্ধে কোনও কড়া পদক্ষেপ নিতে পারবে না। শনিবার ঝালদা পুরসভায় বোর্ড গঠন। তার আগে আদালতের রায়ে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে কাউন্সিলর পূর্ণিমা কান্দু।
আস্থা ভোটে ঝালদা পুরসভা হাতছাড়া হয়েছে তৃণমূলের(TMC)। কংগ্রেসের দখলে পুরুলিয়ার (Purulia) এই পুরসভা। রাজ্যে এই একটি পুরসভাই রইল হাত শিবিরের দখলে। কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশে তলবি সভায় অনাস্থা আনা কংগ্রেসের ৫ কাউন্সিলর ও নির্দলের এক কাউন্সিলর তথা তৃণমূল থেকে সাসপেন্ড হওয়া সোমনাথ কর্মকার ছাড়াও তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করা নির্দল প্রতীকে জিতে আসা শীলা চট্টোপাধ্যায় হাজির ছিলেন। কিন্তু শাসকদল তৃণমূলের পাঁচ কাউন্সিলরের কেউই ছিলেন না। ফলে ১২ ওয়ার্ডের ঝালদা পুরসভায় দুই নির্দলের সমর্থনে ৭ টি ওয়ার্ড নিয়ে বোর্ড দখলে রেখেছে কংগ্রেস (Congress)।
[আরও পড়ুন: রাজ্যে উদ্ধার বিপুল গুলি-বোমা, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কনভয়ে তল্লাশি হোক’, বিস্ফোরক সৌমিত্র]
চার কংগ্রেস কাউন্সিলরদের আশঙ্কা তাঁদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হতে পারে। রক্ষাকবচ চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন তাঁরা। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থারের এজলাসে ওই মামলার শুনানি হয় শুক্রবার। তিনি নির্দেশ দেন, ৪ কংগ্রেস এবং ২ নির্দল কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে আগামী বুধবার পর্যন্ত কোনও কড়া পদক্ষেপ করতে পারবে না পুলিশ। বোর্ড গঠনের আগে হাই কোর্টের রক্ষাকবচে স্বাভাবিকভাবেই স্বস্তিতে বিরোধী কাউন্সিলররা।
তৃণমূলের পুরপ্রধান অপসারণ হওয়ায় কংগ্রেসের দখলে আসা বোর্ডের পুরপ্রধান কে হবেন, এটাই এখন লাখ টাকার প্রশ্ন। এনিয়ে নানা জল্পনা চলছে। তৃণমূলের সঙ্গ ত্যাগ করে আসা শীলা চট্টোপাধ্যায়, পুরসভার বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের বিপ্লব কয়াল ও নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী কংগ্রেসের পূর্ণিমা কান্দু ওই চেয়ারে বসতে পারেন।