সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কংগ্রেসের আয়কর সন্ত্রাসের অভিযোগের পালটা বিস্ফোরণ ঘটাল কেন্দ্র। আয়কর বিভাগ সূত্রে দাবি করা হল, কংগ্রেসের (Congress) তহবিলে বিস্তর গরমিল আছে। হাত শিবির গোপনে নগদে কোটি কোটি টাকার চাঁদা নিয়েছে। আয়কর হানায় সেসব চাঁদার রশিদও উদ্ধার হয়েছে। এমনকী, যে সংস্থার বিরুদ্ধে ইলেক্টোরাল বন্ডের (Electoral Bond) মাধ্যমে বিপুল টাকা বিজেপিকে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছিল, সেই মেঘা ইঞ্জিনিয়ারিং নাকি কংগ্রেসকেও প্রচুর টাকা নগদে চাঁদা দিয়েছে। যদিও এর কোনওটাই সরাসরি আয়কর দপ্তরের কোনও আধিকারিক বলছেন না। বলা হচ্ছে সূত্রের মাধ্যমে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি অনুযায়ী আয়কর বিভাগের (Income Tax) সূত্র বলছে, ২০১৯ সালের এপ্রিল মাসে কংগ্রেস দপ্তরে আয়কর হানায় বহু নথি মিলেছিল। এমনকী, কংগ্রেস নেতা কমল নাথের (Kamal Nath) বাড়িতে তল্লাশিতে এমন নথিও পাওয়া গিয়েছে, যাতে প্রমাণ হয় মেঘা ইলেক্ট্রনিক্স যে সংস্থা কিনা ইলেক্টোরাল বন্ডের দ্বিতীয় বৃহত্তম দাতা, তারাও কংগ্রেসকে কোটি কোটি টাকা চাঁদা দিয়েছে। আয়কর বিভাগের সূত্র বলছে, কংগ্রেস দপ্তর থেকে ৬২৬ কোটি টাকার নগদে চাঁদা নেওয়ার রশিদ পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: নজরে নির্বাচন, এপ্রিলের গোড়াতেই উত্তরবঙ্গ সফরে মমতা]
শুধু তাই নয়, আয়কর বিভাগের আরও দাবি, কংগ্রেস যে অভিযোগ করছে তাঁদের বিরুদ্ধে বেআইনিভাবে পদক্ষেপ করা হচ্ছে সেটাও মিথ্যা। এর আগে বার বার কংগ্রেসকে নোটিস দেওয়া হয়েছে। ৩১ মার্চের মধ্যে জবাব দিতে বলা হয়েছিল। কিন্তু কোনও জবাব মেলেনি। এমনকী আদালতেও ওরা স্বস্তি পায়নি। সেকারণেই পদক্ষেপ করা হচ্ছে। আয়কর বিভাগ মেনে নিচ্ছে, রাজনৈতিক দলকে চাঁদার জন্য আয়কর দিতে হয় না। কিন্তু সেটা ২০০০ কোটি টাকা পর্যন্ত আয় হলে। কংগ্রেস তার চেয়ে বেশি আয়েও কর দেয়নি। সেকারণেই নোটিস দেওয়া হয়েছে।
[আরও পড়ুন: লোকসভা ভোটে অভিষেকের বিরুদ্ধে পদ্মপ্রার্থী রুদ্রনীল? জল্পনা তুঙ্গে]
উল্লেখ্য, শুক্রবারই প্রায় ১৭০০ কোটি টাকার আয়কর নোটিস পেয়েছে কংগ্রেস। দলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, এটা মোদি সরকারের প্রতিহিংসা। ভোটে হারের ভয়ে আয়কর সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। আড়াল থেকে সেই অভিযোগেরই জবাব দিল আয়কর বিভাগ।