সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দেশজুড়ে এনআইএ (NIA) অভিযানের পর মুসলিম মৌলবাদী সংগঠন ‘পপুলার ফ্রন্ট অফ ইন্ডিয়া’-কে (PFI) নিষিদ্ধ করেছে কেন্দ্র সরকার। সন্ত্রাসবিরোধী আইনে পিএফআই-র পাশাপাশি আরও আটটি সংগঠনের উপরও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এই পদক্ষেপকে স্বাগত জানিয়েও কেরলের (Kerala) কংগ্রেস ও তাদের জোটসঙ্গী ইন্ডিয়ান ইউনিয়ন মুসলিম লিগ IUML দাবি তুলল, আরএসএসকেও নিষিদ্ধ করা হোক। একই দাবি তুলতে দেখা গিয়েছে সিপিএমকে।
সিনিয়র কংগ্রেস নেতা ও রাজ্যের প্রাক্তন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রমেশ চেন্নিথালা এপ্রসঙ্গে জানাচ্ছেন, ”আরএসএসকেও একই ভাবে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা উচিত। কেরলে ওই দুই সংগঠনই ঘৃণা ছড়িয়ে সমাজে বিভেদ ছড়ানোর চেষ্টা করছে।” কংগ্রেস যে বরাবরই সংখ্যাগুরু ও সংখ্যালঘু, দুই ধরনের সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়েছে সেই দাবিও করেন তিনি।
[আরও পড়ুন: ‘বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব’! এ কী বললেন নীতীশ? তুঙ্গে জল্পনা]
এদিকে আইইউএমএল নেতা এমকে মুনির জানিয়েছেন, পিএফআই কোরানের অপব্যাখ্যা করে সকলকে হিংসার পথ বেছে নিতে উসকানি দিয়েছে। তাঁর কথায়, ”পিএফআই যে কেবল দেশের তরুণ প্রজন্মকে বিপথে চালিত করেছে তাই নয়। তারা সমাজের মধ্যে বিভেদ ও ঘৃণা ছড়াতে চাইছে।”
পিএফআই নিষিদ্ধ হতে পারে এই গুঞ্জন সম্প্রতি জোরদার হচ্ছিল। এপ্রসঙ্গে কেরলের সিপিএম রাজ্য সম্পাদক এমভি গোবিন্দনকে মঙ্গলবারই দাবি তুলতে দেখা যায়, ”আরএসএসকে আগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। যদি চরমপন্থী সাম্প্রদায়িক সংগঠনগুলিকে নিষিদ্ধ করতে হয়, তাহলে আরএসএসকে আগে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হোক। কিন্তু ওরা কি আরএসএসকে নিষিদ্ধ করবে?”
[আরও পড়ুন: ২০১৪’র টেটের প্রশ্নে ভুল, আরও ২২ জনকে নিয়োগের নির্দেশ হাই কোর্টের]
উল্লেখ্য, বুধবার ইউএপিএ আইনের অধীনে আগামী পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে পিএফআই (PFI) সংগঠনকে। শুধু পিএফআই-ই নয়, এরসঙ্গে যুক্ত একাধিক সংগঠন যেমন সিএফআই, অল ইন্ডিয়া ইমাম কাউন্সিল, রিহ্যাব ইন্ডিয়া ফাউন্ডেশন, ন্যাশনাল উইমেন্স ফ্রন্টকেও বেআইনি কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত সংগঠন বলে ঘোষণা করা হয়েছে। এই সমস্ত সংগঠনকেই নিষিদ্ধ বলে ঘোষণা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে।