নন্দিতা রায়: “দেশে গণতন্ত্র নেই। যাঁরা প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে কথা বলবেন, তাঁরাই সন্ত্রাসবাদাবীর তকমা পাবেন।” এভাবেই কেন্দ্রীয় সরকারের সমালোচনা করলেন কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। বৃহস্পতিবার রাহুল নেতৃত্বাধীন কংগ্রেসের এক প্রতিনিধিদল রাষ্ট্রপতির সঙ্গে দেখা করেন। কৃষি আইন বিরোধী দু’কোটি কৃষকের স্বাক্ষর করা স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেন। এরপরই কেন্দ্রীয় সরকারকে তীব্র আক্রমণ করেন রাহুল।
এদিন কংগ্রেস সাংসদের ঝাঁজালো আক্রমণে নিশানা ছিল প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। প্রাক্তন কংগ্রেস সভাপতির কথায়, “ভারতে কোনও গণতন্ত্র নেই। প্রধানমন্ত্রীর বিরোধিতা করলেই সন্ত্রাসবাদী হিসেবে দাগিয়ে দেওয়া হবে। আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবতও যদি মোদির বিরোধিতা করেন, তবে তাঁকে জঙ্গি বলা হবে।” রাহুলের ব্যাখ্যা, “প্রধানমন্ত্রী মোদি শুধু পুঁজিপতিদের জন্য কাজ করছেন। কৃষক শ্রমজীবী অথবা মোহন ভাগবত-যে এর বিরোধিতা করবে, তাঁকেই জঙ্গি বলে চিহ্নিত করা হবে।” তাঁর আরও কটাক্ষ, “ভারতে কোনও গণতন্ত্রই নেই। যাঁরা ভাবছেন এ দেশে গণতন্ত্র আছে, তাঁরা স্বপ্নের জগতে বাস করছেন।”
[আরও পড়ুন : কংগ্রেসের রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানে বাধা পুলিশের, আটক প্রিয়াঙ্কা গান্ধী]
দুকোটি কৃষকের স্বাক্ষর নিয়ে রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের সঙ্গে দেখা করেন কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল। ওই দলে রাহুল গান্ধী ছাড়াও ছিলেন গুলাম নবি আজাদ, অধীর রঞ্জন চৌধুরি। তাঁরা কৃষকদের স্বার্থে এই আইন প্রত্যাহার করতে রাষ্ট্রপতির হস্তক্ষেপ দাবি করেন। পাশাপাশি, সংসদে যৌথ অধিবেশন ডাকার আরজিও জানিয়েছে কংগ্রেস। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সাক্ষাতের পর রাহুলের খোঁচা, “এটা সকলের জানা উচিত, দেশের প্রধানমন্ত্রী আদপে কিছুই জানেন না। তিনি চূড়ান্ত অযোগ্য। তিন-চারজন শিল্পপতির স্বার্থরক্ষা করতে দেশ চালাচ্ছেন। কৃষক, শ্রমজীবীদের প্রতি ওঁনার কোনও সমবেদনা নেই। “
উল্লেখ্য, কেন্দ্রের কৃষি আইনের প্রতিবাদে কংগ্রেসের রাষ্ট্রপতি ভবন অভিযানে বাধা পুলিশের। প্রিয়াঙ্কা গান্ধী-সহ আরও কয়েকজন কংগ্রেস নেতাকে হেফাজতে নিয়েছে দিল্লি পুলিশ। কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে প্রায় ২ কোটি সই সংগ্রহ করেছে কংগ্রেস। এদিন সেই স্মারকলিপি রাষ্ট্রপতির হাতে তুলে দেয় কংগ্রেস প্রতিনিধি দল।