সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রে আট বছর ক্ষমতার বাইরে। দুই রাজ্যে টিমটিম করে চলছে সরকার। এই পরিস্থিতিতে রাজস্থানে (Rajasthan) কংগ্রেস (Congress) নেতৃত্বের অন্দরের ফাটল বারবার প্রকাশ্যে আসছে। শচীন পাইলট (Sachin Pilot) দাবি তুললেন গেহলটপন্থী বিদ্রোহী বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করুন নতুন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে। সেই সঙ্গে সম্প্রতি মোদি যেভাবে গেহলটের প্রশস্তি করেছেন তা নিয়েও খোঁচা দিয়েছেন তিনি। ইঙ্গিত করেছেন সংসদে প্রধানমন্ত্রীর প্রশংসার পরে গুলাম নবি আজাদ দল ছেড়েছিলেন, তেমনই কি কিছু করবেন গেহলটও?
স্বাভাবিক ভাবেই তাঁর এমন মন্তব্যে অস্তিতে রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্ব। এর আগে কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনের সময় ঘোরতর রাজনৈতিক সংকট দেখা দিয়েছিল রাজস্থানে। প্রাথমিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট সভাপতি নির্বাচনে দাঁড়াবেন বলে জানা গিয়েছিল। কিন্তু এক ব্যক্তি এক পদ নীতি অনুসারে তিনি সভাপতি নির্বাচিত হলে ছাড়তে হত মুখ্যমন্ত্রী পদ। এই পরিস্থিতিতে গেহলটপন্থীরা দাবি তোলেন, যদি গেহলট সরে যান, তাহলে তাঁরাও বিধায়ক পদ থেকে সরে দাঁড়াবেন। পরে অবশ্য গেহলট কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচনে প্রার্থী হননি।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটকে নিয়োগের দাবিতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ চাকরিপ্রার্থীরা, সপাটে চড় কষালেন পুলিশকর্মী]
সদ্য কংগ্রেসের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন খাড়গে। এবার ফের পুরনো বিতর্ক উসকে শচীন পাইলট দাবি করলেন, ওই বিধায়কদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করতে হবে। বিতর্কের মুখে খুলেছেন গেহলট জানিয়েছেন, ”সকলকে শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। এই ধরনের কথা কারও বলা উচিত নয়। কেসি ভেণুগোপাল দলের সকলকে নির্দেশ দিয়েছেন, এই ধরনের কোনও মন্তব্য না করতে। আমরা চাই সবাই যেন সেই নির্দেশ মেনে চলেন।”
প্রসঙ্গত, শচীন কিন্তু বরাবরই ‘বিদ্রোহী’। এর আগে ২০২০ সালেও তিনি দাবি তুলেছিলেন, তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করতে হবে। হরিয়ানার একটি রিসর্টে কুড়ি জন বিধায়ককে নিজের সঙ্গে রেখেছিলেন শচীন। কিন্তু বাকি বিধায়করা তাঁকে সমর্থন না করায় শেষ পর্যন্ত বেকায়দায় পড়ে গিয়েছিলেন প্রয়াত কংগ্রেস নেতা রাজেশ পাইলটের পুত্র। দলীয় হাইকমান্ডের হস্তক্ষেপে শেষ পর্যন্ত তিনি রেহাই পান। এবার ফের তাঁকে বিদ্রোহী হতে দেখা গেল।