সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্রিটিশ পার্লামেন্টে কেন্দ্রের কৃষি আইন ও সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনায় তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে ভারত (India)। ভারতে নিযুক্ত ব্রিটিশ রাষ্ট্রদূতকে ডেকে নয়াদিল্লি সাফ জানিয়ে দেয়, ‘অভ্যন্তরীণ বিষয়ে হস্তক্ষেপ’ মেনে নেওয়া হবে না। এহেন সময়ে আজব যুক্তি দিয়েছেন কংগ্রেস নেতা শশী থারুর। তাঁর বক্তব্য, ‘ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে কথা বলার অধিকার আছে ব্রিটেনের’।
[আরও পড়ুন: ‘রাহুল-সোনিয়ারা নীরব দর্শক’, ভোটের মুখে দল ছাড়লেন কেরলের কংগ্রেস নেতা]
এই বিষয়ে সংবাদ সংস্থা এএনআইকে কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুর বলেন, “এতে অবাক হওয়ার কিছু নেই। এটাকে সামান্য বিষয় হিসেবেই দেখা উচিত। দু’টি গণতন্ত্রের মধ্যে এমনটা হয়। যেমন ভারতে আমরা প্যালেস্টাইন নিয়ে আলোচনা করতে পারি বা করেছি। তেমনই চাইলে অন্য দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয় নিয়েও আলোচনা চলতে পারে। একইভাবে ব্রিটিশ পার্লামেন্টেরও সেই অধিকার আছে। তবে আমি কেন্দ্রীয় সরকারকে দোষ দিচ্ছি না। তারা নিজেদের বক্তব্য রাখতেই পারে। যদিও এটা মনে রাখতে হবে যে গণতন্ত্রে নিজের মতামত জানানোর অধিকার রয়েছে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের।”
উল্লেখ্য, গত সোমবার ব্রিটিশ পার্লামেন্টে দিল্লির কৃষক আন্দোলনে অংশগ্রহণকারীদের নিরাপত্তা নিয়ে বিতর্ক হয়। লিবারাল ডেমোক্র্যাট দলের ভারতীয় বংশোদ্ভূত এমপি গার্চ সিংহের আবেদনের ভিত্তিতে পার্লামেন্টে বিতর্কটির উদ্যোগ নেওয়া হয়। অনলাইনে ওই আবেদনের সপ্তাহ খানেকের মধ্যে পার্লামেন্টে বিতর্কের পক্ষে লক্ষাধিক ব্রিটিশ সায় দিয়েছিলেন। প্রায় দেড় ঘণ্টার বিতর্কে ভারত সরকারের তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে দিল্লি সীমানায় আন্দোলনরত কৃষকদের নিরাপত্তা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ব্রিটেনে লেবার পার্টি, লিবারাল ডেমোক্র্যাট এবং স্কটিশ ন্যাশনাল পার্টির একাধিক সদস্য। তাঁরা বলেন, আন্দোলন দমনে ভারত সরকার যে ধরনের পদক্ষেপ করেছে, তা উদ্বেগজনক। পাশাপাশি, সংবাদমাধ্যমের উপরেও ভারত সরকারের ‘কড়াকড়ি’ নিয়ে আলোচনা হয় ওই অধিবেশনে। তারপরই দেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়এ নাক গলানো নিয়ে ব্রিটেনকে কড়া ভাষায় বার্তা দেয় ভারত।