সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: কন্যাকুমারী থেকে কাশ্মীর পর্যন্ত যাত্রা শেষ। ফের একই ধাঁচে ভারত জোড়ো (Bharat Jodo Yatra) যাত্রা শুরু করতে চলেছে কংগ্রেস। এবার পশ্চিম ভারত থেকে পূর্ব ভারতের দিকে। এবারও যাত্রার মধ্যমণি রাহুল গান্ধী (Rahul Gandhi)। তবে এবার পুরো রাস্তা তিনি পায়ে হাঁটবেন না বলেই খবর। কিছু কিছু এলাকায় গাড়িও ব্যবহার করা হবে।
উল্লেখ্য, গতবছর ৭ সেপ্টেম্বর থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ভারত জোড়ো যাত্রার প্রথম পর্বে হেঁটেছেন রাহুল গান্ধী। প্রায় ৪ হাজার কিলোমিটার সেই যাত্রাপথে ভালোমতোই সাড়া পেয়েছেন রাহুল। কংগ্রেস বলছে, রাহুলের এই যাত্রা কংগ্রেস কর্মীদের মধ্যে নতুন প্রাণশক্তির সঞ্চার করেছে। অনেক বসে যাওয়া কর্মী, বা অভিমানী নেতা ফের দলের মূল সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়েছেন। সেই সাফল্যের রেশ ২০২৪ লোকসভা নির্বাচন পর্যন্ত টেনে নিয়ে যেতে চাইছে হাত শিবির। যাতে ২০২৪ লোকসভা পর্যন্ত জনসংযোগ চালিয়ে যাওয়া যায়।
[আরও পড়ুন: এলাহাবাদ, ফৈজাবাদের পর এবার আলিগড়! যোগীরাজ্যে তুঙ্গে নাম বদলের রাজনীতি]
শোনা যাচ্ছে, আগের বার যাত্রায় যে যে রাজ্যগুলি বাদ গিয়েছে, সেই রাজ্যগুলিকে এই পর্বের যাত্রায় ছুঁয়ে যাওয়া হবে। তবে এবারের যাত্রা আগেরবারের থেকে কংগ্রেসের জন্য বেশি চ্যালেঞ্জিং হতে চলেছে। কারণ এবারের যাত্রা পথে এমন কিছু রাজ্য পড়বে যেখানে কংগ্রেসের সাংগঠনিক শক্তি কার্যত শূন্য। বিহার, বাংলার মতো রাজ্যে সেভাবে প্রভাব নেই হাত শিবিরের। উত্তরপূর্ব ভারতের অধিকাংশ রাজ্যেই হাত শিবির এখন শূন্য। এর মধ্যে যাত্রায় সাড়া পাওয়াটা বেশ চ্যালেঞ্জের।
[আরও পড়ুন: ভোট ভুলে বিষ গ্যাসেই ডুবে ভোপাল! আজও সুস্থ শিশুর জন্ম বিরল]
আগামী মাস অর্থাৎ ডিসেম্বর থেকেই যাত্রা শুরু হবে। চলবে মাঝ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিই লোকসভা ভোট ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। তার পরই ঝাঁপিয়ে পড়তে হবে লোকসভা ভোটের প্রচারে। সুতরাং হাতে সময় মোটে আড়াই মাস। তাছাড়া এবারের যাত্রার রাস্তাটাও বেশ বন্ধুর। জঙ্গল, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকা, পাহাড়-পর্বত, সব পড়বে যাত্রাপথে। তাই সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবারে পুরো যাত্রা পায়ে হেঁটে হবে না। মাঝে মাঝে কিছু কিছু এলাকায় যাত্রাতে গাড়ির ব্যবহার হবে।