সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ধর্ষণ (Rape) যদি থামানো না যায়, তাহলে উপভোগ করতে হয়। এমনই কদর্য মন্তব্য করতে দেখা গেল কর্ণাটকের (Karnataka) কংগ্রেস (Congress) বিধায়ক কে আর রমেশ কুমারকে। এবং তাও খোদ বিধানসভায় দাঁড়িয়ে! তিনি পরে ওই মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইলেও বিরোধীরা গর্জে উঠেছেন তাঁর এহেন মন্তব্যের বিরুদ্ধে।
ঠিক কী হয়েছিল? বৃহস্পতিবার বিধানসভায় কৃষক আন্দোলন নিয়ে আলোচনা চলছিল। সেই সময়ই স্পিকার বিশ্বেশরা হেগড়ের সামনে রমেশ কুমার ওই মন্তব্য করেন। তাঁর মতে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বিষয়টি আসলে ধর্ষণের মতো। যদি নিয়ন্ত্রণে না থাকে তাহলে উপভোগ করতেই হয়।
বিধানসভার মধ্যে দাঁড়িয়ে খোদ প্রাক্তন স্পিকারের এহেন মন্তব্যে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পরিস্থিতি এমনই, কংগ্রেসও নিজেদের প্রতিনিধিকে সমর্থন করতে পারছেন না। রাজ্যসভায় বিরোধী দলনেতা কংগ্রেসের প্রবীণ সদস্য মল্লিকার্জুন খাড়গে জানিয়েছেন, ”ওঁর এরকম বলা উচিত হয়নি। উনি অভিজ্ঞ রাজনীতিবিদ। দু’বার স্পিকারও ছিলেন। তা বলে মহিলাদের নিয়ে ওঁর মন্তব্যকে কখনওই সমর্থন করা যায় না।” তবে যেহেতু তিনি ক্ষমা চেয়ে নিয়েছেন, তাই বিষয়টি অহেতুক টানার প্রয়োজন নেই বলেই মত তাঁর।
[আরও পড়ুন: ‘চাইলে আরও রাফালে যুদ্ধবিমান দেব’, বন্ধু ভারতকে বার্তা ফ্রান্সের]
কিন্তু তিনি এমন বললেও বিতর্ক থামার নাম নেই। কেন্দ্রীয় শিশু ও নারী কল্যাণমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি জানিয়েছেন, ”বিধানসভার ভিতরে এই ধরনের আচরণ অত্যন্ত লজ্জাজনক। কী করে তিনি একজণ মন্ত্রী হয়ে ধর্ষণ নিয়ে এমন মন্তব্য করতে পারেন!” একই সুর গেরুয়া শিবিরের অন্যান্য নেতানেত্রীদের গলাতেও।
সমাজবাদী পার্টির রাজ্যসভা সাংসদ জয়া বচ্চন শুক্রবার ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন রমেশ কুমারের এহেন মন্তব্যে। তিনি সংবাদ সংস্থা এএনআইকে জানিয়েছেন, ”নির্লজ্জ আচরণ। কংগ্রেসের উচিত ওঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করা। তাহলেই সেই শাস্তি একটা নিদর্শন হয়ে থাকবে। যা আগামী দিনে এই ধরনের কথা বলার আগে সকলেরই মনে পড়বে।”