shono
Advertisement

Breaking News

‘মন্ত্রীদের মুখে লাগাম দিন’, নেহরুকে নিয়ে রিজিজুর কটাক্ষের পর মোদিকে বার্তা কংগ্রেসের

নেহরুর ভুলেই জটিল হয়েছে কাশ্মীর সমস্যা, দাবি রিজিজুর।
Posted: 03:50 PM Oct 30, 2022Updated: 03:50 PM Oct 30, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী কিরেণ রিজিজুর (Kiren Rijiju) মন্তব্যের তীব্র নিন্দা করে সরব হল কংগ্রেস। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (Narendra Modi) কাছে কংগ্রেসের তরফে আবেদন করা হয়েছে, সরকারের মন্ত্রীদের যেন তিনি সতর্ক করেন। রিজিজু যেন তাঁর কথার জন্য ক্ষমা চান, সেই দাবিও করা হয়েছে কংগ্রেসের তরফে। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু কাশ্মীর (Kashmir) সমস্যাকে বাড়িয়ে তুলেছেন, এই মন্তব্য করেই কংগ্রেসের (Congress) রোষের মুখে পড়েছেন কেন্দ্রীয় আইনমন্ত্রী।

Advertisement

প্রধানমন্ত্রী হিসাবে নেহরু কী কী ভুল করেছিলেন, সেই বিষয়ে একটি প্রতিবেদন লিখেছিলেন রিজিজু। সেখানেই তিনি লিখেছেন, কাশ্মীর সমস্যাকে অযথা বাড়িয়ে তুলেছিলেন নেহরু। ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর সিদ্ধান্তকে ‘চরম ভুল’ বলে অভিহিত করেছেন রিজিজু। প্রতিবেদনে তিনি লিখেছেন, কাশ্মীরে ৩৭০ ধারা জারি করে বিশেষ মর্যাদা দিয়েছিলেন নেহরু। পাকিস্তানের সঙ্গে এই অঞ্চল নিয়ে যে বিরোধ ছিল, তাকে রাষ্ট্রসংঘের মঞ্চ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। এহেন ভুল সিদ্ধান্তের ফলে প্রচুর মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, প্রচুর সেনা ও সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।

[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্র ছেড়ে গুজরাটে TATA, ‘সরকারে আস্থা নেই বণিক মহলের’, দাবি আদিত্য ঠাকরের]

প্রতিবেদনে এই কথা গুলি লেখার বিষয়ে রিজিজুর যুক্তি, যা কিছু ভুল হয়েছিল, সেই ইতিহাস মনে রাখা দরকার। আগামী দিনে এই ভুল যেন না হয়। সেই সঙ্গে রিজিজুর দাবি, তিনি মোটেও ইতিহাস বিকৃত করেননি। শুধু বেশ কিছু তথ্য তুলে ধরেছেন। কিন্তু রিজিজুর এই মন্তব্যে যথেষ্ট অসন্তুষ্ট হয়েছেন কংগ্রেস নেতৃত্ব। রিজিজুর কথার তীব্র প্রতিবাদ করে কংগ্রেস নেতা আনন্দ শর্মা বলেছেন, “মানসিকভাবে দেউলিয়া হয়ে গিয়েছেন রিজিজু। তাঁর অবস্থা দেখে দয়া হচ্ছে। ইতিহাস সম্পর্কে কিছুই জানেন না তিনি।

রিজিজুর মন্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপও দাবি করেছেন আনন্দ শর্মা। সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি বলেছেন, “মন্ত্রীদের মুখে লাগাম দিতে হবে প্রধানমন্ত্রীকে। এই রকম দায়িত্বজ্ঞানহীন অসত্য কথা বলছেন তাঁর মন্ত্রীরা। ১৯৪৭ সালে দেশীয় রাজাদের অধীনে থাকা অঞ্চলগুলি কীভাবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল, সেই সম্পর্কে একাধিক ব্যক্তির লেখা রয়েছে। ” রিজিজুর ক্ষমাপ্রার্থনা দাবি করে আনন্দ বলেছেন, “আইনমন্ত্রীকে এহেন মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চাইতে হবে। সেই সঙ্গে নিজের কথাও ফিরিয়ে নিতে হবে।” তবে এই প্রসঙ্গে বিজেপি বা প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি।

[আরও পড়ুন:মধ্যপ্রদেশে কিশোরীকে অপহরণ করে গণধর্ষণ, বুলডোজার দিয়ে অভিযুক্তদের বাড়ি ভাঙল প্রশাসন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement