সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নয়া বিতর্কে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের প্রশাসন। শহিদ বিএসএফ জওয়ান প্রেমসাগরের পরিবারকে ‘অপমান’ করার অভিযোগ উঠেছে প্রশাসনের বেশ কিছু আধিকারিকের বিরুদ্ধে।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী দেখা করতে আসবেন। আর তাই এসি, সোফা, ২৪ ঘণ্টা বিদ্যুতের ব্যবস্থা করা হয়েছিল প্রেম সাগরের গ্রামের বাড়িতে। এমনকী বিছানো হয়েছিল কার্পেটও। এরপর শহিদ জওয়ানের পরিবারের সঙ্গে দেখাও করেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তাঁর চলে যাওয়ার আধঘণ্টা পরেই খুলে নেওয়া হল সেই সব কিছু। আর এতেই অপমানিত বোধ করেছেন ওই জওয়ানের পরিবার। বেজায় চটেছে বিরোধী দলগুলিও। তারা একযোগে আদিত্যনাথ প্রশাসনের সমালোচনা করেছে।
[নির্দিষ্ট সময়ের তিনদিন আগেই আন্দামান ও নিকোবরে পৌঁছল বর্ষা]
গত ১ মে শহিদ হন প্রেম সাগর। তাঁর মুণ্ডচ্ছেদ করে নিয়ে যায় পাকিস্তানের বর্ডার অ্যাকশন টিম বা ব্যাট। এই খবর জানার পর থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল গোটা গ্রাম। পাকিস্তানের নক্ক্যারজনক অপরাধের জন্য উপযুক্ত পদেক্ষেপ দাবি করেন তাঁরা। সেই সঙ্গে প্রেমসাগরের পরিবার জানায়, মুখ্যমন্ত্রী আদিত্যনাথ দেখা না করা পর্যন্ত জওয়ানের অন্ত্যেষ্টি ক্রিয়া সম্পন্ন হবে না। শেষ পর্যন্ত আদিত্যনাথ তাঁদের সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং দেখা করার আশ্বাস দেন। এরপরেই এসি, সোফা প্রভৃতির ব্যবস্থা করা হয়। কাঁচা রাস্তা পাকা হয়ে যায়। পাশাপাশি দীর্ঘদিনের খোলা ড্রেন বন্ধও করে দেওয়া হয়। যে স্বাস্থ্যকেন্দ্রটি বহুদিন বন্ধ হয়ে ছিল, সেখানেও কাজ শুরু হয়। এই প্রসঙ্গে প্রেমসাগরের ছেলে জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী আসার আগেই স্থানীর সরকারি আধিকারিকরা এসে ঘরের মধ্যে কার্পেট বিছিয়ে দেন। এছাড়া সোফা সেট এবং এসি মেশিন বসিয়ে দেন। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রী চলে যেতেই কয়েকজন আধিকারিক আসেন এবং ওগুলি খুলে নিয়ে চলে যান।’ শহিদ জওয়ানের ভাই দয়াশঙ্কর যিনি নিজেও একজন বিএসএফ জওয়ান বলেন, “স্থানীয় প্রশাসন এক-দু’দিন অপেক্ষা করতেই পারত। এটা আমাদের সরাসরি অপমান করা।”
[রুদ্ধশ্বাস ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলকে হারিয়ে ফেড কাপের ফাইনালে বাগান]
এই ঘটনায় ইতিমধ্যে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। সুযোগ পেয়ে আদিত্যনাথ প্রশাসনকে আক্রমণ করতে ছাড়ছে না কংগ্রেস ও সমাজবাদী পার্টিও। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ গ্রহণেরও আর্জি জানিয়েছে তারা। কংগ্রেস নেতা দ্বিজেন্দ্র ত্রিপাঠী সংবাদসংস্থা এএনআই-কে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এই কাজের মাধ্যমে অপমান করা হল শহিদ জওয়ানকে। প্রশাসন যা করেছে, সেটা একদমই উচিত হয়নি। যে ব্যক্তি দেশের প্রাণ দিয়েছেন, তাঁর বলিদানকে হাস্যস্পদ করে তোলা হল। আশা করি, মুখ্যমন্ত্রী এব্যাপারে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেবেন।’ একই সুর সপা নেত্রী জুহি সিংয়ের গলাতেও। গোটা ঘটনাটি ‘অপমানজনক’ আখ্যা দিয়ে তিনি বলেন, ‘খুবই অপমানজনক ঘটনা। পুরোটাই প্রশাসনের দোষ। মুখ্যমন্ত্রীর নাম খারাপ করার জন্য এই কাণ্ড ঘটানো হয়েছে। আশা করি আদিত্যনাথ ওই আধিকারিকদের বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেবেন। কারন কোনও মুখ্যমন্ত্রীই এই ধরনের নির্দেশ দিতে পারে না।’
[পাক অনুপ্রবেশকারীকে গুলি করে মারল বিএসএফ]
The post মুখ্যমন্ত্রী চলে যেতেই শহিদ প্রেমসাগরের বাড়ি থেকে সরানো হল এসি-সোফা appeared first on Sangbad Pratidin.