সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় বড়সড় রদবদলকে তীব্র কটাক্ষ করল কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, মোদি তাঁর মন্ত্রিসভায় চারজন আমলাকে নিয়ে এসেছেন কারণ তিনি নিজের রাজনৈতিক সঙ্গীদের উপর আর পুরোপুরি ভরসা রাখতে পারছেন না।
কংগ্রেস মুখপাত্র মনীশ তিওয়ারি নয়া মন্ত্রীদের ‘সিনিয়র সিটিজেন’ বলেও কটাক্ষ করেছেন। তিনি বলছেন, ‘যে দেশে বাসিন্দাদের গড় বয়স ২৭ বছর, সেই দেশের নতুন মন্ত্রীদের গড় বয়স ৬০ বছর।’ নয়া মন্ত্রীদের বাছাইয়ের পিছনে নাকি প্রধানমন্ত্রীরও হাত নেই, অভিযোগ করেছেন এই কংগ্রেস নেতা। তাঁর দাবি, মোদি নন বরং অমিত শাহ নাকি মন্ত্রিসভার রদবদলের আসল কারিগর। অমিত শাহই মেয়াদ উত্তীর্ণ হওয়ার আগে মন্ত্রীদের পদত্যাগ করার নির্দেশ দেন বলে অভিযোগ কংগ্রেসের।
[আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি সামলান, যোগীকে ‘ধমক’ ভাগবতের]
রবিবার, কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভায় নয়জন নতুন মুখের সংযোজন ঘটেছে। তাঁদের মধ্যে চারজন প্রাক্তন আমলা, যাঁদের মধ্যে দুজন প্রাক্তন আইএএস অফিসার। আলফন্স ও প্রাক্তন কূটনীতিক হরদীপ সিং পুরি তো পার্লামেন্টেরও সদস্য নন। মুম্বইয়ের প্রাক্তন পুলিশ কমিশনার সত্যপাল সিং ও প্রাক্তন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রসচিব আর কে সিংও এদিন শপথগ্রহণ করেন। তিওয়ারির বক্তব্য, ‘বোঝাই যাচ্ছে, মোদিজি তাঁর রাজনৈতিক সঙ্গীদের উপর এখন আর তেমন ভরসা রাখতে পারছেন না।’
দেখুন ভিডিও:
এদিন দেশের দ্বিতীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী হিসাবে শপথ নেন নির্মলা সীতারমণ। তাঁর ছেড়ে যাওয়া বাণিজ্য মন্ত্রকে পুনর্বাসন হয়েছে সুরেশ প্রভুর। তাঁর জায়গায় আসছেন মহারাষ্ট্রের আর এক প্রতিনিধি পীযূষ গোয়েল। সূত্রের খবর, কয়লা এবং শক্তি মন্ত্রকে পীযূষের পারফরমেন্সে খুশি ছিলেন মোদি। তাই তাঁর এই উত্থান। পীযূষের ছেড়ে আসা মন্ত্রক পেয়েছেন আর কে সিং। প্রাক্তন এই স্বরাষ্ট্রসচিব প্রতিমন্ত্রী হলেও স্বাধীন দায়িত্ব পেয়েছেন। পেট্রোলিয়াম মন্ত্রকের স্বাধীন দায়িত্ব পেয়েছেন ধর্মেন্দ্র প্রধান। পাশাপাশি তাঁকে স্কিল ডেভলপমেন্টের বাড়তি দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। রদবদলে পদোন্নতি হয়েছে নরেন্দ্র তোমরের। খনি মন্ত্রকের পাশাপাশি এবার গ্রামোন্নয়নও তাঁকে দেখতে হবে। সংখ্যালঘু উন্নয়ন মন্ত্রকের পূর্ণ দায়িত্ব পেয়েছেন মুখতার আব্বাস নকভি।
ইস্তফা দিতে হলেও একেবারে হতাশ হননি উমা ভারতীকে। তাঁকে নিকাশি দপ্তরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। নতুন রাষ্ট্রমন্ত্রীদের মধ্যে নগরোন্নয়ন দপ্তর দেখবেন হরদীপ সিং। শিবপ্রতাপ শুক্লাকে অর্থ দপ্তরের প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। ‘ডেমোলিশন ম্যান’ হিসাবে পরিচিত আলফন্স কান্নানথানমকে পর্যটন দপ্তরে জায়গা পেয়েছেন।
[মন্ত্রিসভার রদবদলে সবথেকে বড় চমক নির্মলা সীতারমণ]
The post ‘আমলারা মন্ত্রিসভায় কেন, তবে কি মোদির রাজনৈতিক সঙ্গীদের উপর বিশ্বাস নেই?’ appeared first on Sangbad Pratidin.