shono
Advertisement

কর্ণাটকের পর এবার রাজস্থানে নজর কংগ্রেসের, বিবাদ মেটাতে পাইলট-গেহলটকে তলব খাড়গের

এই মুহূর্তে রাজস্থানে সম্মুখসমরে শচীন পাইলট-অশোক গেহলট।
Posted: 01:54 PM May 25, 2023Updated: 01:54 PM May 25, 2023

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যেনতেন প্রকারে মেটানো গেল কর্ণাটকের সমস্যা। এবার পালা রাজস্থানের। মরুরাজ্যে দুই বিবাদমান নেতা শচীন পাইলট এবং অশোক গেহলটকে দিল্লিতে তলব করলেন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)।

Advertisement

বিধানসভা নির্বাচনের আগে রাজস্থানে (Rajasthan) গেহলট-পাইলট দ্বন্দ্ব চরমে। দিন কয়েক আগে নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন শচীন পাইলট। মুখ্যমন্ত্রী গেহলটকে তিনি দিন পনেরোর সময় দিয়েছেন তিনি। এই সময়সীমার মধ্যে দাবি পূরণ না হলে সরকারের বিরুদ্ধে গণআন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। আসলে পাইলট এবার রাজস্থানের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার জন্য মরিয়া। তিনি চাইছেন, এখনই তাঁকে মুখ্যমন্ত্রী করে দেওয়া হোক। নিদেনপক্ষে অন্তত আগামী দিনের নেতা হিসাবে তাঁর নাম ঘোষণা করা হোক।

[আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা, মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাত আরও তীব্র!]

কংগ্রেস সূত্রের খবর, পাইলটকে এখনই মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করে পাঞ্জাবের মতো ঝুঁকি নিতে চাইছে না হাইকম্যান্ড। সেক্ষেত্রে পাইলটের দাবি মানা সম্ভব নয়। তাছাড়া যেভাবে নিজের দলের সরকারের বিরুদ্ধেই প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী কর্মসূচি শুরু করেছেন, তাতে শীর্ষ নেতৃত্ব অসন্তুষ্ট। কংগ্রেস নেতৃত্ব মনে করছে, পাইলট যদি এখন দল ছেড়েও দেন, তাতেও সোজা বিজেপিতে (BJP) যাওয়ার মতো পরিস্থিতিতে নেই তিনি। খুব বেশি হলে তিনি আগামী মাসে নিজের আলাদা আঞ্চলিক দল ঘোষণা করতে পারেন। সেক্ষেত্রে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের সঙ্গে জোট বেঁধে তৃতীয় মোর্চা খুলতে পারেন তিনি। তাতে কংগ্রেসের ক্ষতি হলেও পাইলটের নিজের বিশেষ লাভ হবে না। কংগ্রেস (Congress) সূত্রের খবর, পাইলটকে এখন কেন্দ্রীয় স্তরে কোনও একটা পদ নেওয়ার প্রস্তাব দেওয়া হতে পারে।

[আরও পড়ুন: নীতি আয়োগের বৈঠকে যোগ দিচ্ছেন না মমতা, মোদি সরকারের সঙ্গে সংঘাত আরও তীব্র!]

পাইলট-গেহলট দ্বন্দ্ব এই নতুন নয়, ২০২০ সালে রাজস্থানের তৎকালীন উপমুখ্যমন্ত্রী শচীন পাইলটের (Sachin Pilot) নেতৃত্বে বিদ্রোহ শুরু করেন তাঁর অনুগামীরা। মুখ্যমন্ত্রী পদে অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) পরিবর্তে পাইলটকে বসাতে চেয়ে আন্দোলন শুরু হয়। পরে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে। উপমুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় পাইলটকে। মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব থাকে গেহলটের হাতেই। গেহলট অভিযোগ করেন, সেসময় তাঁর সরকার ফেলে দেওয়ার জন্য যে ষড়যন্ত্র হয়েছিল, সেটা আসলে হয়েছিল বিজেপির ইশারায়। তাতে শামিল হয়েছিলেন পাইলট। সেই যে বিবাদ শুরু হয়েছিল, সেটা আজও মেটেনি। এবার নিতান্ত নিরুপায় হয়ে কংগ্রেস শীর্ষ নেতৃত্ব, এই সমস্যার স্থায়ী সমাধান চাইছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement