সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লোকসভা নির্বাচনে (Lok Sabha 2024) লড়তে মোটেই রাজি নয় কংগ্রেসের বর্ষীয়ান ব্রিগেড। বরং দলের তরুণ তুর্কিদের মাঠে নামাতে চান তাঁরা। সেই তালিকায় রয়েছে দলের সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের নামও। কংগ্রেস (Congress) সূত্রে খবর, নিজেরা না লড়ে পরিবারের অন্য কোনও সদস্যকে লোকসভা নির্বাচনে নামাতে চাইছেন নেতারা।
কংগ্রেসের অন্দরে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়, কর্নাটকের গুলবার্গা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী হোন খাড়গে (Mallikarjun Kharge)। গত লোকসভায় অবশ্য এই আসন থেকে হেরেছিলেন তিনি। তার পর রাজ্যসভা সাংসদ হয়ে বিরোধী দলনেতা হয়েছেন। তাঁর সাংসদ হিসাবে মেয়াদ ফুরাতে এখনও চার বছর বাকি রয়েছে। এহেন পরিস্থিতিতে লোকসভার ময়দানে নিজে না লড়ে গুলবার্গা থেকে জামাই রাধাকৃষ্ণন দোদ্দামানিকে নামাতে চান খাড়গে। তাঁর মতে, ব্যক্তিগতভাবে নির্বাচনে না লড়ে গোটা দেশে দলের প্রচারের দিকে নজর দিতে হবে কংগ্রেস সভাপতিকে।
[আরও পড়ুন: সিএএ চালু হতেই অসমে বিক্ষোভের আগুন, রাজ্যজুড়ে হরতালের ডাক, পালটা হুঁশিয়ারি হিমন্তের]
দলের সভাপতির পথেই হাঁটতে চলেছেন হাত শিবিরের একাধিক বর্ষীয়ান নেতা। কংগ্রেস সূত্রে খবর, অশোক গেহলট, কমল নাথ, হরিশ রাওয়াতের মতো নেতারা কেউই নির্বাচনে লড়তে রাজি নন। তিন জনেই চান তাঁদের ছেলেরা লোকসভায় (Lok Sabha Election 2024) প্রতিদ্বন্দ্বিতা করুক। অশোক গেহলটের পুত্র বৈভবের নাম ইতিমধ্যেই চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছে। রাজস্থানের জালোর থেকে লড়বেন তিনি। অন্যদিকে, মধ্যপ্রদেশের ছিন্দওয়ারা থেকে লড়বেন কমল নাথের পুত্র নকুল নাথ। গত লোকসভায় এই কেন্দ্র থেকে সাংসদ হয়েছিলেন তিনি। অন্যদিকে, অসুস্থতার কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে চান হরিশ রাওয়াত। তাঁর পরিবর্তে ছেলে বীরেন্দ্রকে টিকিট দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন উত্তরাখণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী।
শুধু প্রবীণ নেতারা নয়, ভোটে দাঁড়াতে অনীহা কংগ্রেসের নতুন প্রজন্মের মুখেরও। শচীন পাইলট সাফ জানিয়েছেন, তিনি নির্বাচনে লড়বেন না। বরং রাজস্থান আর ছত্তিশগড়ে কংগ্রেসের ফল যেন ভালো হয় সেই জন্য কাজ করবেন। অন্যদিকে, অসমের কোন কেন্দ্র থেকে গৌরব গগৈকে টিকিট দেওয়া হবে তা নিয়েও ধোঁয়াশা রয়েছে। সোমবার প্রার্থী বাছাই নিয়ে দ্বিতীয় দফার বৈঠক হয়েছে কংগ্রেসে। সেখান থেকে পাওয়া খবরের ভিত্তিতে বিশ্লেষকদের অনুমান, তাহলে কি হেরে যাওয়ার ভয়েই লড়তে চাইছেন না ‘হেভিওয়েট’ নেতারা? একাংশের মতে, কংগ্রেসকে পরিবারবাদী দল হিসাবে বারবার আক্রমণ করে বিজেপি। এবার যদি হেভিওয়েট নেতার পরিবারের সদস্যরা টিকিট পান তাহলে সেই আক্রমণ আরও বাড়বে।