সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পাঞ্জাবে বিশৃঙ্খলা। ছত্তিশগড়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব। রাজস্থানেও অবস্থা তথৈবচ। ক্ষোভে ফুঁসছে বিক্ষিপ্ত G-23 গোষ্ঠী। প্রকাশ্যেই দলের বিরুদ্ধে কথা বলছেন কপিল সিব্বলরা (Kapil Sibbal)। তৃণমূলের (TMC) মতো দল যারা কিনা কংগ্রেসের ‘স্বাভাবিক মিত্র’ হিসাবে পরিচিত, তাঁরাও কংগ্রেস ভাঙিয়ে শক্তিশালী হচ্ছে। এ হেন পরিস্থিতিতে একপ্রকার তড়িঘড়িই কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক ডাকল দলের শীর্ষ নেতৃত্ব।
শনিবার কংগ্রেসের (Congress) সাংগঠনিক সাধারণ সম্পাদক কে সি বেণুগোপাল টুইট করে জানিয়েছেন, আগামী ১৬ অক্টোবর ফের কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটি বৈঠকে বসতে চলছে। সেই বৈঠকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি এবং পাঁচ রাজ্যের আসন্ন নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হবে। তবে কংগ্রেস সূত্রের খবর, আসন্ন পাঁচ রাজ্যের নির্বাচন এবং দলের অন্দরের টালমাটাল পরিস্থিতির মধ্যে কংগ্রেসের স্থায়ী সভাপতি নির্বাচন নিয়েও আলোচনা হবে ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে (CWC)।
[আরও পড়ুন: আসন্ন ৫ রাজ্যের ভোটে উত্তরপ্রদেশ-সহ তিন রাজ্যে ক্ষমতায় ফিরতে পারে বিজেপি! বলছে সমীক্ষা]
এই মুহূর্তে দেশের মোটে তিনটি রাজ্যে কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী আছেন। এর মধ্যেও পাঞ্জাবে টালমাটাল পরিস্থিতি। মুখ্যমন্ত্রী বদলেও দলের অন্দরের ক্ষোভ শামাল দেওয়া যায়নি। ছত্তিশগড়েও মুখ্যমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্যমন্ত্রীর মধ্যে বিবাদ চরমে। রাজস্থানেও শচীন পাইলট, অশোক গেহলটের (Ashok Gehlot) বিবাদ সর্বজনবিদিত। এসব সামাল দিতে কংগ্রেস যখন নাকানিচোবানি খাচ্ছে, তখনই আবার একের পর এক নেতা যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরা, অসম, গোয়ার মতো রাজ্যে কংগ্রেসে ভাঙন ধরেছে। একই রকমভাবে কংগ্রেসে ভাঙন ধরছে গুজরাট, উত্তরাখণ্ডেও। এই এলাকাগুলিতে আবার প্রভাব বাড়াচ্ছে আম আদমি পার্টি। আবার বিজেপির (BJP) বিরুদ্ধে বৃহত্তর জোটের যে লক্ষ্য, সেটাও এখন অথৈ জলে। এই সার্বিক জটিলতা কাটাতেই এই বৈঠক।
[আরও পড়ুন: ‘অনেকেই অ্যাপ্লিকেশন জমা দিয়েছেন’, বিজেপিতে আরও বড় ভাঙনের ইঙ্গিত ফিরহাদ হাকিমের]
তাছাড়া প্রায় আড়াই বছর সময় ধরে স্থায়ী সভাপতি নেই কংগ্রেসের। শোনা যাচ্ছে, দলের অন্দরে নির্বাচন প্রক্রিয়া দ্রুতই শুরু হবে। সেই নির্বাচনে সভাপতি বেছে নেওয়া হতে পারে। সেটা নিয়েও আলোচনা পড়ে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে।