সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ৪১ শ্রমিকের দুঃস্বপ্ন ফুরনোর মুখে। উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) চলছে শেষ মুহূর্তের কাজ। তখনই আসরে রাজনীতি। কংগ্রেস-সহ (Congress) বিরোধীদের অভিযোগ, চন্দ্রযান হোক কিংবা সেনার সাফল্য কিংবা নীরজ চোপড়াদের মতো খেলোয়াড়দের জয়, যাবতীয় কৃতিত্ব নিতে সময় মতো ক্যামেরার সামনে হাজির হন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi)। এবারও অন্যথা হবে না। সেই সূত্রে মঙ্গলবার মোদির একটি কটাক্ষ-কার্টুন এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেছে কংগ্রেস। যেখানে কার্যত বলা হয়েছে, ক্যামেরা না থাকলে বিপদে দেখা মেলে না মোদির! কংগ্রেসের সোশাল মিডিয়া পোস্টে বেজায় ক্ষেপেছে গেরুয়া শিবির। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
রবিবার সকাল ১০টা নাগাদ দলের এক্স হ্যান্ডেলে মোদির কার্টুন পোস্ট করে কংগ্রেস। সেই ছবিতে দেখা গিয়েছে, গাঢ় সবুজ হাফ কোর্ট পড়া মোদি দাঁয়িয়ে উত্তরকাশীর টানেলের সামনে। যেখানে বর্তমানে চলছে উদ্ধারকাজ। মোদির হাতে একটি সবুজ পতাকা। ঠিক যেভাবে বন্দে ভারতের মতো ট্রেনের উদ্বোধন করেন, সেই কায়দায় সুড়ঙ্গ থেকে শ্রমিক উদ্ধারেও পতাকা নাড়ছেন। চূড়ান্ত কটাক্ষের এই ছবির ক্যাপশানে হিন্দিতে লেখা হয়েছে, “কুছ কামেরা বগারে লাগবায়ো, তো সাহিব কে দর্শন হো জায়ে।” বাংলা করলে দাঁড়ায়- ক্যামেরা লাগাও, যাতে সাহেবের (মোদির) ছবি ওঠে। কার্যত প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে শো-ম্যানশিপের অভিযোগ এনেছে কংগ্রেস। তাদের বক্তব্য, সাড়ে ষোলো দিন ভয়ংকর সুড়ঙ্গে আটকে থাকলেন শ্রমিকরা, নাওয়া-খাওয়া-ঘুম ভুলে উদ্ধারে কাজ করলেন উদ্ধারকারী দল, বিশেষজ্ঞ বিজ্ঞানী, চিকিৎসক, সেনাকর্মীরা। অথচ সাফল্যের ক্ষীর খেতে সময় মতো হাজির হবেন মোদি। ফস-ফস ছবি উঠবে ক্যামেরায়। সকলে বলবে, মোদির ভারতের কৃতিত্ব!
[আরও পড়ুন: আত্মহত্যার আজব খেলা! একসঙ্গে বিষপান চার বন্ধুর, মৃত ২ তরুণী]
স্বভাবতই কংগ্রেসের মোদি কার্টুন একেবারেই পছন্দ হয়নি গেরুয়া শিবিরের। এই বিষয়ে বিজেপির জাতীয় সম্পাদক দুশ্যন্ত কুমার গৌতম মন্তব্য করেন, “এটা দুর্ভাগ্যজনক। কংগ্রেসের উচিত ছিল ৪১ জন মানুষের জন্য প্রার্থনা করা, তাঁদের জন্য প্রয়োজন মতো ব্যবস্থা নেওয়া। বিরোধী দলের সেই দায়িত্ব পালনে অসফল তাঁরা। ওরা কেবল প্রতিটি বিষয়ে উপহাস করে, অপমান করতে পারে। গোটা দেশ ৪১ জন প্রাণের জন্য প্রার্থনা করছে, ওরা বিদ্রুপে ব্যস্ত। এটা দুর্ভাগ্যজনক।”