সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: 'ওরা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলতে চায়!' রবিবার ইন্ডিয়া জোটের মহাসভায় ফের অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে তিহাড় জেলে খুনের চক্রান্তের অভিযোগ উঠল। তুললেন কেজরি জায়া সুনীতা। আপ সুপ্রিমোকে জেলে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না বলে সোচ্চার হলেন তিনি।
এদিন ক্ষোভ উগরে সুনীতা বলেন, ''ওঁর খাবারের দিকে ক্যামেরা তাক করা রয়েছে। প্রতিটি কামড় জরিপ করা হচ্ছে। এটা একেবারেই নির্লজ্জ একটা ব্যাপার। উনি একজন সুগারের রোগী। ১২ বছর ধরে ইনসুলিন নেন। কিন্তু জেলে ইনসুলিন দেওয়া হচ্ছে না। ওরা দিল্লির (Delhi) মুখ্যমন্ত্রীকে মেরে ফেলতে চায়।'' তাঁর কথায় উঠে আসে হেমন্ত সোরেনের গ্রেপ্তারির প্রসঙ্গও। তাঁকে বলতে শোনা যায়, ''ওরা অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal) ও হেমন্ত সোরেনকে জেলে ভরেছে। দোষী সাব্যস্ত না করেই বন্দি করেছে। এটা একনায়কত্ব। আমার স্বামীর দোষটা কী? ভালো শিক্ষা, স্বাস্থ্য পরিষেবা দেওয়া?''
[আরও পড়ুন: চূড়ান্ত জলকষ্ট অতীত, ৮০ বছরে প্রথম জলের কল পেল উত্তরপ্রদেশের এই গ্রাম]
প্রসঙ্গত, ইন্ডিয়া জোটের সভার আগে বিরোধী নেতাদের পোস্টারে কার্যত ছেয়ে যায় রাঁচি। জেলবন্দি হেমন্ত সোরেন-অরবিন্দ কেজরিওয়াল ছাড়াও সোনিয়া গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর পোস্টারও রয়েছে সেখানে। তবে এদিনের সম্মেলনে সোনিয়া-প্রিয়াঙ্কা ছিলেন না। বরং নজর কাড়লেন কেজরিওয়ালের স্ত্রী।
এদিকে এদিনই তিহাড় জেল কর্তৃপক্ষের একটি চিঠি প্রকাশ করেছে আপ (AAP)। তাতে দেখা যাচ্ছে, কেজরিওয়ালের জন্য একজন ডায়াবেটিস বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের ব্যবস্থা করুন, এই মর্মে এইমসের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন দিল্লির জেল কর্তৃপক্ষ। সেই চিঠিকে হাতিয়ার করেই আপের তোপ, জেল কর্তৃপক্ষ বার বার বলেছেন, সেখানে নাকি পর্যাপ্ত ওষুধ ও চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু এই চিঠি থেকেই সাফ বোঝা যায় সেই দাবি একেবারে ভিত্তিহীন। যদিও পরে জেল কর্তৃপক্ষের তরফে জানানো হয়, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী আপাতত সুস্থ। এইমসের এক চিকিৎসক তাঁর শারীরিক পরীক্ষা করেছেন।