সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নতুন সংসদ ভবনের (Parliament Building) মাথায় তৈরি হয়েছে বিরাট আকারের অশোকস্তম্ভ (National Emblem) । সোমবার ভারতের জাতীয় প্রতীকের আবরণ উন্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। এই কাজ করে “সাংবিধানিক নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন প্রধানমন্ত্রী”, মন্তব্য এমআইএম (MIM) প্রধান আসাদউদ্দিন ওয়েইসির (Asaduddin Owaisi)। কেন এই কথা বললেন ওয়েইসি?
সোমবার সকালে ব্রোঞ্জের তৈরি যে অশোকস্তম্ভটি উম্মোচন করেন প্রধানমন্ত্রী, তা উচ্চতায় প্রায় ৬.৫ মিটার। পূর্ত দপ্তরের আধিকারিকরা জানিয়েছেন, প্রায় ৯ মাস ধরে তৈরি করা হয়েছে প্রতীকটি। প্রতীক উদ্বোধনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন লোকসভার স্পিকার ওম বিরলা (Om Birla), কেন্দ্রীয় মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরী (Hardeep Singh Puri) প্রমুখ। গোটা বিষয়টিতে তীব্র আপত্তি জানিয়ে টুইট করেন ওয়েইসি। তাঁর বক্তব্য, “সংসদ, সরকার এবং বিচার বিভাগের ক্ষমতা পৃথক করা রয়েছে সংবিধানে। একজন প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর উচিত হয়নি সংসদ ভবনের উপরে জাতীয় প্রতীক উন্মোচন করা।” তিনি আরও বলেন, “লোকসভার স্পিকার লোকসভার প্রতিনিধিত্ব করেন, তিনিও সরকারের কেউ নন।” এমআইএম নেতার কথায়, এদিন “সাংবিধানিক নিয়মকে লঙ্ঘন করেছেন প্রধানমন্ত্রী।”
[আরও পড়ুন: ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় ফের সোনিয়াকে তলব ইডি’র, ২১ জুলাই হাজিরার নির্দেশ]
এদিকে পূর্ত দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রায় ৯ হাজার ৫০০ কেজি ওজন প্রতীকটির। চওড়ায় ৪.৪ মিটার। নতুন সংসদ ভবনের একেবারে চূড়ায় থাকছে এটি। প্রতীকটিকে ধরে রাখার জন্য ৬ হাজার ৫০০ কেজির স্টিলের পাত চারপাশে থাকছে। প্রথমে কম্পিউটার গ্রাফিক্সে খসরা করা হয় জাতীয় প্রতীকের। এরপর মাটি দিয়ে তৈরি করে, ব্রোঞ্জ কাস্টিং, পালিশ-সহ নানা ধাপে এটি বর্তমান রূপ পায়। বিরাট চেহারা ও ওজনের অশোকস্তম্ভটিকে উপরে তুলতে ১৫০টি ভাগে ভাগ করা হয়। এরপর ছাদে সেগুলিকে জোড়া লাগানো হয়। গোটা প্রক্রিয়াটি শেষ করতে প্রায় দু’ মাস সময় লেগেছে।
[আরও পড়ুন: অগ্নিপথ নিয়ে দিল্লিতে সরব তৃণমূল, প্রতিরক্ষা বিষয়ক সংসদীয় কমিটির বৈঠকে প্রকল্প বাতিলের দাবি]
সংসদ ভবন ও প্রতীক তৈরিতে নিয়োজিত কর্মীদের সঙ্গেও এদিন কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পরে তিনি টুইট করেন, “সংসদ ভবন নির্মাণকর্মীদের সঙ্গে চমৎকার কথাবার্তা হল আজ। তাঁদের কাজে আমরা গর্বিত। তাঁদের প্রচেষ্টাকে সব সময় স্মরণ করবে দেশ।”