সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশন কাশ্মীর নিয়ে যে রিপোর্ট দিয়েছে, তাকে এককথায় মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বলে উড়িয়ে দিল ভারত। আপত্তিকর রিপোর্ট দেওয়ার জন্য ভারতের কূটনীতিকরা কড়া প্রতিবাদ জানিয়েছেন রাষ্ট্রসংঘে।
[আরও পড়ুন: বিচারপতিকে ব্ল্যাকমেল করেই নওয়াজ শরিফকে শাস্তি, বিস্ফোরক মরিয়ম]
মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশন ভারতকে অনুরোধ করেছে, কাশ্মীরের মানুষের আত্মনিয়ন্ত্রণের অধিকারকে সম্মান করতে। আন্তর্জাতিক আইনে প্রত্যেকের মানবাধিকার সুরক্ষিত রাখতে। সেই আইন মেনে চলতে। জম্মু-কাশ্মীরে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। অথচ দোষীদের কোনও শাস্তি হচ্ছে না। ভারতের বিদেশমন্ত্রকের মুখপাত্র রবীশ কুমার স্পষ্ট জানিয়েছেন, রাষ্ট্রসংঘের মানবাধিকার সংক্রান্ত হাই কমিশন সন্ত্রাসবাদকে বৈধতা দিচ্ছে। তারা যে রিপোর্ট দিয়েছে, তা ভারতের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতার বিরোধী। পাকিস্তান মদতপুষ্ট আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যাকে আদৌ স্বীকারই করা হয়নি। বিদেশমন্ত্রক বিবৃতিতে বলেছে, বছরের পর বছর সীমান্তে সন্ত্রাস চালিয়ে আসছে পাকিস্তান। তাতে কত নিরীহ মানুষ প্রাণ হারিয়েছে তার কোনও হিসাবই নেই ওই রিপোর্টে। বরং খুব পরিকল্পিতভাবে বিশ্বের বৃহত্তম ও সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ গণতন্ত্রের সঙ্গে এমন একটি দেশের তুলনা করা হচ্ছে যে দেশ সন্ত্রাসবাদে মদত দেয়।
রবীশ কুমার জানান, পুরো জম্মু-কাশ্মীর ভারতের অবিচ্ছেদ্য অংশ। তথাকথিত আজাদ কাশ্মীর এবং গিলগিট বালটিস্তানও ভারতের অংশ। পাকিস্তানকে বহুবার ওইসব এলাকা ছেড়ে দিতে বলা হয়েছে। এই সব মিথ্যে রিপোর্টের মাধ্যমে ভারতীয়দের মনোবল ভেঙে দেওয়ার জন্য পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে। তা কখনওই সফল হবে না। সব মিলিয়ে কাশ্মীর নিয়ে কোনও ধরনের হস্তক্ষেপ সহ্য করা হবে না, তা রাষ্ট্রসংঘের কাছে পরিষ্কার করে দিয়েছে ভারত। গতবার কাশ্মীরে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘন’ নিয়ে প্রথম রিপোর্ট পেশ করে রাষ্ট্রসংঘের ‘হিউম্যান রাইটস কাউন্সিল’। সেখানে ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই কাঠগড়ায় দাঁড় করানো হয়।
[আরও পড়ুন: মায়ের মতোই টেনিসভক্ত ব্রিটিশ রাজপুত্র জর্জ, টিপস দিচ্ছেন স্বয়ং রজার ফেডেরার]