সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মূল অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল আজাদ হিন্দ ফৌজ এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্রকে সম্মানিত করার লক্ষ্যে। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যেও রাজনীতির গন্ধ পাচ্ছেন বিরোধীরা। কী এমন বললেন মোদি? নেতাজি তথা আজাদ হিন্দ ফৌজের স্বাধীন ভারতের ডাক দেওয়ার দিনটিকে সম্মানিত করার লক্ষ্যে মোদি যে অনুষ্ঠানের আয়োজন করলেন সেই অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে গান্ধী-নেহেরু পরিবারকে তোপ দাগতে ছাড়লেন না। প্রধানমন্ত্রীর স্পষ্ট অভিযোগ, একটি পরিবারকে দেখা হত সব কিছুর উপরে। আর সেজন্য অন্য সব নেতাদের অবদানকে দেখানো হয়েছে ছোট করে।
[অমৃতসরে দুর্ঘটনার প্রতিবাদে রেল অবরোধ, পুলিশ-জনতা খণ্ডযুদ্ধ]
এদিন লালকেল্লায় পতাকা উত্তোলনের পর মোদি বলেন, “স্বাধীনতাত্তোর ভারতবর্ষে সব কিছুকে ব্রিটিশদের চোখ দিয়েই দেখা হত। একটি পরিবারের অবদানকে সবার উপরে প্রতিষ্ঠা করার জন্য অন্য নেতাদের অবদানকে খাটো করে দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। সর্দার বল্লবভাই প্যাটেল, ভীমরাও আম্বেদকর, নেতাজি সুভাষচন্দ্রের মতো নেতাদের স্বাধীনতা আন্দোলনে বড়সড় ভূমিকা রয়েছে। কিন্তু সেই ভূমিকা অস্বীকার করার চেষ্টা হয়েছে। স্বাধীনতার ৭৫ পর আজ হয়তো সব কিছুই অন্যরকম হতে পারত। আমাদের সরকার সবকিছু পরিবর্তন করার চেষ্টা করছে।” পুরো ভাষণে নেহেরু বা গান্ধী পরিবারের কারও নাম না নিলেও মোদির এই অভিযোগগুলি যে সরাসরি তাদেরই বিরুদ্ধে তা বোঝার জন্য বিশেষজ্ঞ হওয়ার প্রয়োজন হয় না।
[যোগীর পথে হিমাচল সরকার, নাম বদলে ‘শিমলা’ হতে পারে ‘শ্যামলা’]
অন্যদিকে, মোদির এই বক্তব্যের পরই আসরে নামে কংগ্রেস। তাদের অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী মাঝে মাঝেই ভুলে যান তিনি একটি সাংবিধানিক পদে আছেন। সংকীর্ণ রাজনীতির উদ্দেশ্যে সমস্ত সরকারি মঞ্চকেই ব্যবহার করছেন মোদি। কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক মনু সিংভি বলেন,” ভুলে যান তিনি সাংবিধানিক পদে আছেন, দিনরাত ২৪ ঘণ্টা শুধু অন্যের দোষ দেওয়া, এই ধরনের অনুষ্ঠানে রাজনীতি করার কোনও অধিকার তাঁর নেই, কখনও তিনি নেতাজিকে রাজনীতিতে ঢোকান, কখনও প্যাটেলজিকে। এসব কি প্রধানমন্ত্রীর মতো আচরণ? জলহীন মাছের মতো এই সরকার স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ছোট করে বেঁচে থাকতে চাইছে।”