অরিজিৎ গুপ্ত, হাওড়া: এবার ‘বেসুরো’ হাওড়ার (Howrah) প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর বাণী সিংহরায়। ক্ষোভ উগরে দিলেন দলের বিরুদ্ধে। আশ্বাস দিলেন সারাজীবন শুভেন্দু অধিকারীর পাশে থাকার। স্বাভাবিকভাবেই দাপুটে তৃণমূল নেতা বাণী সিংহরায়ের মন্তব্যে শুরু জল্পনা।
বাণী সিংহরায় এদিন সংবাদ প্রতিদিনকে বলেন, “আমাদের দল যে নীতি-আদর্শের কথা বলে সেখান থেকে অনেক সরে গিয়েছে। দলটা বহু কষ্ট করে, বহু রক্তপাতের পর তৈরি হয়েছে। যাঁরা আত্মত্যাগ করেছে তাঁরা আদতে কিছু পায়নি। এমনকী মন্ত্রীদেরও কাজ করতে দেওয়া হয়নি।” সরাসরি মুখ্যমন্ত্রীকে নিশানা করেন তিনি। বলেন, “আমাদের মুখ্যমন্ত্রী বলেন তরুণ প্রজন্মের কথা বলেন, সেই তরুণ প্রজন্মের জনক শুভেন্দু, রাজীব-সহ আরও অনেকমন্ত্রী যাঁরা কাজ করতে পারছেন না।” তাঁর প্রশ্ন, কেন এমনটা হল? কেন শুভেন্দু অধিকারীকে বেরিয়ে যেতে হচ্ছে দল থেকে? ক্ষোভ প্রকাশ করেন পিকে-কে নিয়েও। ব্যঙ্গাত্মক সুরে বলেন, “যে বাংলার ভুগোলটাই জানে না। তিনি রাজ্যের দায়িত্বে!”
[আরও পড়ুন: ‘এমন বন্ধু থাকলে শত্রুর দরকার নেই’, ফেসবুক পোস্টে কাকে বিঁধলেন উদয়ন গুহ? তু্ঙ্গে জল্পনা]
এদিন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari) ইস্যুতেও মুখ খোলেন তিনি। জানান, শুভেন্দু তাঁর বাড়ি গিয়েছিলেন আশীর্বাদ চাইতে। বাণীবাবু তাঁর পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছেন। এদিন হাওড়ার দাপুটে তৃণমূল নেতা বলেন, “আমি শুভেন্দুকে জানিয়েছি, আমার সম্পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। শুধু নিজে নই, রাজ্যের বিভিন্নপ্রান্তে আমার পরিচিত যত মানুষ রয়েছেন সকলকেই আমি বলব শুভেন্দুর কথা, ওর পাশে থাকার কথা।” যদি শুভেন্দু অধিকারী সত্যিই তৃণমূল শিবির ত্যাগ করেন, তাতেও কি সমর্থন থাকবে? বাণীবাবুর কথায়, “আমার বিশ্বাস শুভেন্দু ভুল সিদ্ধান্ত নিতে পারে না।” এপ্রসঙ্গে অরূপ রায়ের সঙ্গে কথা বলা হলে তিনি বলেন, “বাণীদা অনেক সিনিয়র মানুষ। কোথাও হয়তো সমস্যা হয়েছে। আমি কথা বলে নিচ্ছি।”