সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তমলুকের সভা থেকে চাঁচাছোলা ভাষায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে আক্রমণ করলেন শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)। বললেন, “আমি ঘুষখোরই যখন ২ ডিসেম্বর হাতেপায়ে ধরেছিলি কেন?” তুলোধনা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কেও। চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বললেন, “১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও পদ্ম ফোটাব।”
রবিবার সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিলেন ডায়মন্ড হারবারবারের সাংসদ। তাঁকে ঘুষখোর, মধুখোর, বিশ্বাসঘাতক বলে কটাক্ষ করেছিলেন। সোমবার তমলুকের সভা থেকে তার জবাব দিলেন শুভেন্দু। বললেন, “তোলাবাজ ভাইপো, এরকম চিটিংবাজ লোক খুব কম আছে। ছোট থেকেই চিটিংবাজিতে হাত পাকিয়েছিল।” ইঙ্গিতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন সুব্রত মুখোপাধ্যায়, সৌগত রায়, কাকলি ঘোষদস্তিদার, ববি হাকিমের বিরুদ্ধে। এরপরই অভিষেকের ‘মধুখোর’ কটাক্ষের জবাবে শুভেন্দু বলেন, “আমার ১১ সালের আগে যা ছিল, আজও তা আছে। বাড়িও পালটায়নি, গাড়িও পালটায়নি। কারণ মধু আমি খাইনি।” শুভেন্দু প্রশ্ন করেন, এতই যখন দুর্নীতির অভিযোগ, তবে কেন তাঁকে দলে রাখার জন্য এত জোর করা হয়েছিল। তাঁর দাবি, কেডি সিংকে নিয়োগ করেছিলেন অভিষেকই। সুদীপ্ত সেনের চিঠির পিছনেও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত রয়েছে বলেই অভিযোগ শুভেন্দুর।
[আরও পড়ুন: রাস্তায় দাঁড়িয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলার নলি কাটার চেষ্টা যুবকের! চাঞ্চল্য কোচবিহারে]
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেককে আক্রমণের পাশাপাশি এদিনে সভা থেকে শুভেন্দু বলেন, “আমার বাড়িতেও পদ্ম ফুটতে শুরু করেছে। রামনবমীর আগে সব পদ্ম ফুটে যাবে।” এরপরই চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেন, “১৬ ফেব্রুয়ারির আগে মাননীয়ার বাড়িতেও পদ্ম ফুটবে।” বিজেপি নেতার এই মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই জল্পনা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। ইঙ্গিতে কী বোঝাতে চাইলেন শুভেন্দু, তা নিয়ে চলছে চর্চা। এদিনের সভা থেকে ফের প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পের ভূয়সী প্রশংসা করেন শুভেন্দু। রাজ্যের মানুষদের দুর্দশার জন্য দায়ী করেন মুখ্যমন্ত্রীকে। সেই সঙ্গে আশ্বাস দেন প্রত্যেকের ভবিষ্যত সুনিশ্চিত করার।