শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: উদয়ন গুহ, বেচারাম মান্নার পর এবার কর্মিসভায় বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন জলপাইগুড়ির তৃণমূলের এসটি সেলের চেয়ারম্যান কৃষ্ণ দাস। রবিবার মঞ্চে দাড়িয়ে নিজেকে ‘মস্তান, ভোট ছিনতাইকারী’ বলে সদরের নেতাদের উদ্দেশ্যে কার্যত চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। জলপাইগুড়ি বারোপেটিয়ার ওই তৃণমূল (TMC) নেতার এহেন মন্তব্য নিয়ে কানাঘুষো শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে।
রবিবার জলপাইগুড়ি (Jalpaiguri) আর্ট গ্যালারির কর্মিসভায় কৃষ্ণ দাস প্রশ্নের সুরে বলেন, “আমরা যদি দাগী মালদের ভোটে জেতাতে পারি, তাহলে সদরের তাবড় তাবড় নেতা, ভাল মানুষ থাকতেও কেনও ভোটে জিততে পারি না? এরপরই এসসিএসটি সেলের কর্মীদের এনে সদর বিধানসভা কেন্দ্র জিতে দেখাবেন বলে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দেন তিনি। সাংবাদিকদের সামনে বারোপেটিয়ার নেতার এই বিতর্কিত মন্তব্যে অস্বস্তিতে পড়ে তৃণমূল কংগ্রেস। অস্বস্তিতে পড়েন পর্যটন মন্ত্রী গৌতম দেব নিজেও। বিতর্ক এড়াতে এপ্রসঙ্গে মুখ খুলতেই রাজি হননি গৌতমবাবু। এবিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, “সব প্রশ্নের জবাব আমি দেব না। দল যা বলার বলবে।”
[আরও পড়ুন:এক ঘণ্টার মধ্যে সরকারি প্রকল্পের ২ বার উদ্বোধন! ফের প্রকাশ্যে তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব]
পঞ্চায়েত নির্বাচনে গায়ের জোরে ভোট করানোর অভিযোগ উঠেছিল কৃষ্ণ দাসের বিরুদ্ধে। লোকসভা নির্বাচনে জলপাইগুড়ি কেন্দ্রে দলের ভরাডুবি হলেও নিজের এলাকায় ভোট ধরে রেখে দলের কাছে তারিফ পেয়েছিলেন তিনি। কাজের মানুষ হিসেবে সুনামও রয়েছে তাঁর। কিন্তু বিতর্ক যেন কিছুতেই পিছু ছাড়ে না কৃষ্ণ দাসের। এদিন কর্মিসভায় নিজেকে ‘মস্তান, ভোট ছিনতাইকারী’ বলে ফের বিতর্কে জড়ালেন তিনি। কৃষ্ণ দাসের এই বক্তব্যে দলের মধ্যেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। এপ্রসঙ্গে রাজগঞ্জের বিধায়ক খগেশ্বর রায় বলেন, “কীভাবে তিনি এমন শব্দ ব্যবহার করলেন তার ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই।” তবে এ বিষয়ে জেলা সভাপতির কোনও প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। যদিও কৃষ্ণ দাসের ব্যাখ্যা, তিনি এক রকমভাবে বিষয়টি বলার চেষ্টা করেছেন। আরেকরকম ব্যাখা করা হয়েছে।